সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
উত্তর মালদহে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনটি জনসভা করবেন। তারমধ্যে গাজোল, হবিবপুর, মালদহ বিধানসভা এলাকায় সভাগুলি হবে। অন্যদিকে বিজেপিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে পুরাতন মালদহের বাইপাসে সভা করাবে বলে দল সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানে উত্তর ও দক্ষিণ মালদহের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তৃণমূল, বিজেপি এবং কংগ্রেস যৌথভাবে জানিয়েছে, সমস্ত বিধানসভাকে তারা সমান ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভা আসন রয়েছে। ২০১৯ সালে বিজেপি প্রর্থী খগেনবাবু ৫ লক্ষ ৯ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। তৃণমূলের মৌসম ৪ লক্ষ ২৪ হাজার এবং কংগ্রেসের ঈশা খান চৌধুরী পেয়েছিলেন প্রায় চার লক্ষ ভোট। তারমধ্যে মালদহ বিধানসভা থেকে বিজেপি ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়েছিল। তৃণমূল ৫০ হাজারের বেশি ভোট পায়। অন্যদিকে গাজোল এবং হবিবপুর বিধানসভাতেও এক লক্ষের বেশি করে ভোট পায় বিজেপি। তৃণমূল গাজোলে ৬৭ হাজার, হবিবপুরে বিধানসভা ৫৩ হাজার ভোট পেয়েছিল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, তিনটি বিধানসভা বিজেপির খগেন মুর্মুকে জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল। উত্তর মালদহের বিজেপির সম্পাদক স্নেহাংশু ভট্টাচার্য বলেন, আমরা গতবার থেকেও এবার বেশি ভোট জয় লাভ করব। গাজোল, হবিবপুর, মালদহ সহ তিনটি বিধানসভা মিলিয়ে দু’লক্ষের বেশি লিড থাকবে। অন্য চারটি বিধানসভাতেও লিড হবে। কারণ মোদিজি দেশের জন্য কাজ করেছেন। সংখ্যালঘু মহিলাদের কথা ভেবেছেন। তাদের ভোট আমরা পাব। জেলায় মোদি আসছেন। তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।
মালদহ জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি শুভময় বসু বলেন, গতবারের ভোট এবং এবারের ভোটের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। গতবার দেশাত্মবোধের কথা বলে বিজেপি ভোট নিয়েছিল। তিন বিধানসভা সহ অন্যান্য বিধানসভা থেকে তাঁরা এবার তত ভোট পাবে না। কারণ মানুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ নানা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। সবাই মমতা দিদির দিকে রয়েছেন। গাজোল সহ বিভিন্ন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন। জেলার দুই লোকসভা আসন তৃণমূলের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। মালদহ জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি মান্তু ঘোষ বলেন, গত ভোটের হিসেব করলে হবে না। আমরা পঞ্চায়েত ভোটে কিছুটা ভালো ভোট পেয়েছি। আমরা আশা করছি গাজোল সহ সব বিধানসভা থেকেই আমাদের লিড হবে।