সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বিষয়টি নিয়ে ছোট শালবাড়ি পঞ্চায়েত প্রধান সার্জিনা খাতুন বিবি বলেন, আমি চেয়ারে বসার আগে ঘরটি বানানো হয়েছে। এনিয়ে বেশি কিছু জানা নেই। অতিথি নিবাস চত্বর সাফাই করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিজটের কারণে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। পরে উদ্যানটি দেখভালের দায়িত্ব নেয় শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতি। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে প্রতিবছর নিলাম করে ইজারাদারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সুজিতচন্দ্র বর্মন বলেন, আমরা চাই ঐতিহাসিক এই গড়কে কেন্দ্র করে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠুক। এতে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য দাবি জানাই প্রশাসনের কাছে।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ভারতবর্ষের ইতিহাসে গড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার সংখ্যা খুব কম। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া খনন কাজ বন্ধ রাখায় এই অঞ্চলের ইতিহাস থেকে আমরা বঞ্চিত। ফের খনন কাজ চালুর প্রয়োজন। গড়ের ক্ষয় ঠেকাতে গড়টি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এছাড়াও দুয়ারগুলি চিহ্নিত করে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে সেগুলি অক্ষত থাকে। তবে কোচবিহারের নতুন ইতিহাস সংরক্ষিত হয়ে থাকবে। বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে আনব। কিন্তু কোচবিহারের সাংসদ গত পাঁচবছরে এ নিয়ে একদিনও মুখ খোলেননি, এটা দুর্ভাগ্যজনক।
শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, কান্তেশ্বর রাজার গড়ের ঐতিহ্য রয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র করার পরিবেশও আছে। শীতলকুচিতে পর্যটনকেন্দ্র হলে মানুষের কর্মসংস্থান হবে, কান্তেশ্বর রাজাকে গৌরবান্বিত করা হবে। রাজ্য সরকার ও তৃণমূল নেতাদের এ বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই।