সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
চা চাষিরা বলেন, টাকার অভাবে ক্ষুদ্র চা চাষিদের অনেকেই বাগান পরিচর্চা ও কীটনাশক ছড়াতে পারছেন না। রতন সাহা নামে এক চা চাষি বলেন, গত আট মাসে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। রোগপোকা দমনের লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এবার রেড স্পাইডার ও গ্রিন ফ্লাই ব্যাপক হারে বেড়েছে। রিয়াজুল ইসলাম নামে আর এক ক্ষুদ্র চা চাষি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় চা গাছের গোড়া শুকিয়ে যাচ্ছে। পাতা ঝরছে। জল ছিটিয়েও সমস্যা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।
আরেক ক্ষুদ্র চাষি ফয়জুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির অভাবে চা পাতা ঝলসে গিয়েছে। জলসেচ এবং কীটনাশক দিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। কাঁচা চা পাতার ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে না। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। চোপড়া স্মল টি প্লান্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পার্থ ভৌমিক বলেন, রোগ-পোকার উপদ্রবে এলাকায় উদ্বেগ শুরু হয়েছে। বিষয়টি টি বোর্ডের নজরে আনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আলোচনামূলক শিবির করা হচ্ছে। পরিবেশপ্রেমী সুবল গোপ বলেন, চা বাগান থেকে ছায়া গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের জন্য চাই সবুজ অরণ্য। সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে প্রতি বছর জুলাই মাসে অরণ্য সপ্তাহ উদযাপন করা হয়। বিলি করা হয় গাছের চারা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে চারাগাছগুলি সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি।