কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে অনেক তৃণমূল সদস্য পঞ্চায়েত আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। দল পরবর্তীতে তাঁদের বহিষ্কার করে। এখন ফের তাঁদের তৃণমূলে ফেরানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ধূপগুড়িতে বেশ কয়েকটি যোগদান সভা করে অনেককে ফের তৃণমূলে ফেরানো হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী না করায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে পঞ্চায়েত আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোরা-২ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান সুখচান সরকার। গত বৃহস্পতিবার তিনি ফের তৃণমূলে যোগদান করেন। অন্যদিকে, শনিবার রাতে ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতাগ্রাম-১ পঞ্চায়েতের ৬১ নম্বর বুথে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত আসনের সিপিএমের প্রার্থী রাফিজা বেগম সহ ১৪ জন সিপিএমের কর্মী ও সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলের দাবি, প্রতিনিয়ত বিজেপি ও সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে। এই যোগদান সভা ধারাবাহিকভাবে চলবে।
যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপির ধূপগুড়ির মুখপাত্র কমলেশ সিংহ রায় বলেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বের কাছে প্রশংসা পাওয়ার জন্য নিজেদের দলীয় লোকজনকেই যোগদান করাচ্ছে। সিপিএমের কর্মী ও সমর্থকদের ভয় দেখিয়ে টানা হচ্ছে দলে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না। বিজেপির পক্ষেই ভোট পড়বে।
একই অভিযোগ তুলে সরব হন সিপিএমের ধূপগুড়ির এরিয়া কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত মজুমদার। তিনি বলেন, দলে যোগদান করার জন্য সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূল। আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে আমাদের কোনও কর্মী তৃণমূলের হুমকিতে ভয় পাওয়ার নন। তৃণমূলের ধূপগুড়ি যুব সভাপতি ধরণী রায় পাল্টা বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতেই বাম ও বিজেপির নেতা-কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করছেন। আমাদের পক্ষেই ভোট হবে।