বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গত কয়েকটি নির্বাচনে সিপিএমের সাংগঠনিক দুর্বলতা সামনে এসেছে। তাদের নির্বচিত জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে একাধিক নেতা কর্মী দলবদল করেছেন। এতে তাদের শক্তিক্ষয় হয়েছে। তাদের সংগঠন দুর্বল হওয়ার ফলেই বুথ কমিটি গঠনের কাজটুকুও তারা করতে পারছে না।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, জানুয়ারির এক তারিখের মধ্যে বুথ কমিটি গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে আমরা জেলার সমস্ত বুথে কমিটি গঠন করতে পারিনি। পরে এই সময়সীমা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ান হয়েছিল। এখনও কাজ শেষ হয়নি। দিল্লিতে কৃষকদের সংগ্রাম, তাকে কেন্দ্র করে অনেক কর্মসূচি আমাদের সামনে চলে এসেছে। সেগুলি করতে গিয়ে সাংগঠনিক কাজে কিছুটা সময় লাগছে। তার উপর বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূল ও বিজেপি আমাদের কমিটি গঠন করতে দিচ্ছে না। ইসলামপুরের সুজালি, গোবিন্দপুর, পন্ডিতপোতায় আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। চোপড়াতেও আমাদের তৃণমূল ঢুকতে দিচ্ছে না। গোয়ালপোখরের ছয়টি অঞ্চলে আমাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, সিপিএমের অভিযোগের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। সিপিএমের কর্মী নেই বলে তারা কমিটি করতে পারছে না। তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন, এতে আমাদের দোষ কোথায়?
বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, সিপিএম এখন বৃদ্ধদের পার্টি। তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে সিপিএমের কর্মীরা আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপি তাদের কমিটি করতে দিচ্ছে না, এটা বলা ঠিক নয়। আসলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে প্রবল দলবদলের হাওয়ায় উত্তর দিনাজপুরজুড়ে সিপিএম প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করলেও দল ভালো ফল করতে পারেনি। এর থেকে দলের সাংগঠনিক দুরবস্থার কিছুটা আঁচ করা যায়। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবারও বাম-কংগ্রেস জোটের চর্চা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু যেখানে তারা জেলার সব বুথে কমিটিই গঠন করতে পারছে না, সেখানে তারা কিভাবে তৃণমূল বা বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। অন্যান্য দলগুলির দাবি, আসন্ন বিধানসভা ভোটে একাধিক বুথে নির্বাচনী এজেন্টই দিতে পারবে না সিপিএম।