বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে শিলিগুড়ি অন্যতম। শুধু অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে নয়, অবস্থান ও যোগাযোগের দিক থেকেও এই শহরের গুরুত্ব অপরিসীম। এই শহর উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার। উত্তরবঙ্গের অঘোষিত রাজধানী শহর হিসেবেই পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এই শহর সমস্যার জালে জর্জরিত। তা মেটাতে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালেন স্থানীয় বিধায়ক সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য।
চিঠিতে বিধায়ক উল্লেখ করেছেন, জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার থেকেও এই শহরে যানবাহন বৃদ্ধির হার বেশি। সেই অনুপাতে রাস্তার হার কম। এই শহরের যানজট সমস্যা নিরসনে রাজ্য সরকার সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করুক। মাল্লাগুড়ি ও দার্জিলিং মোড়ে যানজট কমাতে পরিকল্পিত উদ্যোগ দরকার। প্রয়োজনে মহানন্দা নদীর উপর আরও দু’টি সেতু নির্মাণ করা, প্রধান রাস্তাগুলি সম্প্রসারণ ও আধুনিক পার্কিং ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। শহরের লক্ষাধিক মানুষ রেলের অধিগৃহীত বা সরকারি জমিতে বসবাস করেন। এঁরা যাতে জমির লিজ বা পাট্টা পেতে পারেন তারজন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন রাজ্য সরকারের। তা না হলে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে সরকারি গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। পুরসভার সংযোজিত এলাকার ৬৪১টি পরিবারকে এখনও জমির প্রাপ্ত পাট্টা দেওয়া হয়নি। শহরে পানীয় জলের তীব্র সমস্যা রয়েছে। শিলিগুড়ি শহরে আন্তর্জাতিকমানের ক্রীড়া কেন্দ্র তৈরি করা সহ আরও কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। বিধানসভা ভোটের মুখে তাঁর এই চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বিধায়ক বলেন, বিগত বামফ্রন্ট সরকার এই শহরের যানজট কমাতে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছিল। তা কার্যকরীও হয়েছিল। যেমন, মূল সড়কগুলির উপর থেকে চাপ কমাতে বিকল্প রাস্তা তৈরি, শহরের ভিতরে অতিরিক্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে মহানন্দা নদীর উপর কয়েকটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ইস্টার্ন বাইপাস, ঘোষপুকুর ফুলবাড়ি বাইপাস, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার বিকল্প সেতু ও রাস্তা, উড়ালপুল প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়। দু’টি উপনগরী, পরিবহণনগরী, রেগুলেটেড মার্কেট প্রভৃতিও নির্মাণ করা হয়। টি পার্ক তৈরির কাজও বিগত সরকারের আমলে শুরু হয়। বর্তমানে এই সমস্ত পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। তাই শহরের যানজট ও পানীয়জল সহ জ্বলন্ত সমস্যাগুলি মেটানোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। কারণ, সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার মুখে মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের মন্ত্রীরা প্রচুর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তাই শেষলগ্নে শিলিগুড়ির সমস্যাগুলি মেটানোর দাবি জানিয়েছি। একইসঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য শহরের মতো এই শহরকে ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতেও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছি।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার পাল্টা বলেন, ব্যর্থ অশোকবাবুকে শহরের সমস্যা নিয়ে আর ভাবতে হবে না। ফের রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর আমরাই ওই সমস্যগুলি মেটাব।