বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ মানস বৈদ্য বলেন, ১৪ জানুয়ারি থেকে এই গরম জামাকাপড়ের ব্যাঙ্ক শুরু করা হয়েছে। কলেজের শিক্ষক পীযূষ সাহা সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা প্রথম এই পরিকল্পনা করেন। সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেন অন্যরাও। দেরি না করে দ্রুত এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা তাঁদের বাড়ি থেকে যথেষ্ট সংখ্যক গরম জামাকাপড় এনে জমা দিয়েছেন এই ভাণ্ডারে। বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের কলেজের পড়ুয়ারাও সাড়া দিয়েছে।
তারাও নিজেদের সাধ্যমত বাড়ি থেকে অব্যবহৃত গরম জামাকাপড়, সোয়েটার ইত্যাদি নিয়ে এসেছে। সব মিলিয়ে কলেজের এই সার্বিক মানবিক উদ্যোগে আশাতীত সাড়া মিলেছে।
কলেজের অধ্যক্ষের ঘরের সামনেই একটি শোকেসে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে গরম জামাকাপড়গুলি। প্রচার চালানো হচ্ছে। অনেকেই জানতে পেরে প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ে যাচ্ছেন এই গরম জামাকাপড়। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের হাতে হাত মিলিয়ে প্রবল ঠাণ্ডার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাচ্ছেন তাঁরাও।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ক’দিনের মধ্যেই কলেজ ক্যাম্পাস থেকে অন্তত শ’দুয়েক গরম জামাকাপড় মানুষ নিয়ে গিয়েছেন প্রয়োজন অনুযায়ী। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি গরম জামাকাপড় সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামীতে বিষয়টির পরিধি আরও বাড়বে বলে জানা গিয়েছে।
মালদহ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র দেবদীপ দত্ত বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করেছি। লক্ষ্য একটাই, যেন আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বিষয়টি জানতে পেরে এই গরম জামাকাপড়ের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেন। পাশাপাশি যাঁদের প্রয়োজন তাঁরাও যেন নিঃসঙ্কোচে প্রয়োজন অনুযায়ী সেসব সংগ্রহ করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পুরো শীতকাল জুড়েই চলবে এই কমিউনিটি ওয়ার্ক।