শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজেটে টান। চাঁদা তোলা যাবে না। রাজ্য সরকার যে অনুদান দিয়েছে, তার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের দেওয়া আর্থিক সাহায্যেই পুজোর আয়োজন করছেন উদ্যোক্তারা। মাত্র দেড় লক্ষ টাকা বাজেটেই এবার থিমের পুজোর আয়োজন করছেন তাঁরা। গত বছর যা ছিল ৫ লক্ষ টাকা। অন্যান্য বছরগুলিতেও থিমপুজোর আয়োজন করে এই ক্লাব। এবছর নানারকম চাপের মধ্যেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তাঁরা তুলে ধরছেন পজো মণ্ডপে। পুজোর থিম হচ্ছে ‘বিশে বিষ’। করোনা, উম-পুন, অতিবৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতি- সবকিছু নিয়ে বিষেভরা এই বছরটিকে ফুটিয়ে তুলতে চাইছেন পুজো উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির সভাপতি ভবেশ ঘোষ বলেন, বাঁশ, কাঠ, বাটাম, কাপড় দিয়ে মণ্ডপ বানানো হচ্ছে। তার সঙ্গে বিভিন্ন মডেল ও পোস্টার দিয়ে থিমভাবনা তুলে ধরা হবে। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য মান্তু ঘোষ বলেন, এবছরটাই তো বিষে ভরা। শুরু থেকেই একের পর এক বিপর্যয় নেমে এসেছে আমাদের উপর। করোনা মহামারী থেকে লকডাউন, মানুষের কাজ হারানো, বাইরে থেকে বহু কষ্ট সহ্য করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা, উম-পুন, বৃষ্টি, সব ধরনের কষ্টই আমরা সহ্য করেছি। তাই এই বিশে বিষ থিম নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। এবছর আমরা আমাদের সকলের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরব। পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স, সাফাইকর্মী, পুলিস প্রত্যেক করোনা যোদ্ধাকে শ্রদ্ধা জানানো হবে আমাদের মণ্ডপের মাধ্যমে। পুরাতন মালদহ শহরের ঘোষপাড়া-নালাগোলা রাজ্য সড়কের পাশেই পুজোর আয়োজন করে নবাগত ক্লাব। এমনিতে শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে নবাগত ক্লাবের পুজো অন্যতম। পুজো উপলক্ষে প্রতিবছর জাঁকজমক করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবছর সেসব কিছুই হচ্ছে না। তবে কম বাজেটেও ভাবনার অভিনবত্বে দর্শনার্থীদের নজর কাড়ার চেষ্টা করছেন উদ্যোক্তারা। বাজেটে টান আছে। তাই আলোকসজ্জায় খুব বেশি বাহুল্য থাকছে না। প্রস্তুতির শেষের দিকে পরপর কয়েকদিন বৃষ্টি ভুগিয়েছে মণ্ডপশিল্পীদের। তবে আপাতত ভালো আবহাওয়ার সুযোগ পেয়ে দ্রুত কাজ চলছে।
দুর্গা প্রতিমা থাকছে সাবেকি ধাঁচের, একচালার। পুজো উদ্যোক্তারা জানান, সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই পুজো করা হবে। প্রতিবছর ক্লাবের তরফে নানা সামাজিক কর্মসূচি, দরিদ্রনারায়ণ সেবা, ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। এবছর সেসবেও কাটছাঁট হয়েছে। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য দর্শনার্থীদের উৎসাহিত করবেন উদ্যোক্তারা। মণ্ডপ থেকে সেসব সামগ্রী বিলি করা হবে।