বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
উল্লেখ্য, সারাবছর বেসরকারি নার্সিংহোম এবং প্যাথলজি সেন্টারগুলি চুটিয়ে ব্যবসা করে। পরিষেবা প্রদানের পর তারা রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব বুঝে নেয়। ভিড়ের ঠেলায় বছরের অন্যান্য সময় ইংলিশবাজার শহরের নামী প্যাথলজি সেন্টারগুলিতে পা রাখা দায় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তেই মালিকরা পরিষেবা প্রদান বন্ধ করে দেন। মুষ্টিমেয় নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতাল বাদে বাকিরা কার্যত প্রতিষ্ঠানের ঝাঁপ বন্ধ করে দেন। চিকিৎসকের ঘাটতির অজুহাত দিয়ে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্যান্য সময় আশপাশের জেলার নার্সিংহোমগুলি থেকে স্থানান্তর হয়ে আসা রোগীদের ভর্তি করার জন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ উঠেপড়ে লাগে। তারজন্য কেউ কেউ দালাল পুষে রাখে। অথচ লকডাউনের মাঝে সেই চিত্র আর দেখা যায়নি। উল্টে ‘চিকিৎসক নেই’ বলে অ্যাম্বুলেন্স সহ রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর মালদহ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর নড়েচড়ে বসে। জেলা প্রশাসনের অন্দরেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর প্রশাসনের তরফে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে এব্যাপারে সতর্কও করা হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তর চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তারপরেও এতদিন কেন এব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন মালদহবাসী তুলছে।
প্রসঙ্গত, লকডাউনের আগে কলকাতার নামী বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে মানুষের এধরনের বিপদে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কর্তব্যের বিষয়টি বারবার উঠে এসেছিল। মালদহের ক্ষেত্রে সিংহভাগ নার্সিংহোম ও প্যাথলজি সেন্টার কর্তৃপক্ষ সেই বিষয়টি মাথায় রাখেনি বলে জেলাবাসীর অভিযোগ। কিছু কিছু প্যাথলজি সেন্টারে একাধিক চিকিৎসক বারো মাস রোগী দেখেন। লকডাউনে তাঁরাও উধাও হয়ে যান। ফলে রোগীদের নিয়ে পরিবারের লোকজন চরম সমস্যায় পড়েন।
শহরের বাসিন্দা ঊর্মিলা বিশ্বাস, ঋষি সরকার বলেন, বছরের অন্যান্য সময় আমরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে না গিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করাই। অথচ এখন বিপদের সময়ে সেখানে চিকিৎসা মিলছে না। মেডিক্যাল কলেজই বর্তমানে একমাত্র ভরসার জায়গা। এই বিষয়টি আমাদের শিক্ষা দিয়েছে। আগামী দিনে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে অনেকেই মুখ ফেরাবেন বলে আমাদের ধারণা। এমনিতেই ভর্তি থাকা রোগীর অবস্থার অবনতি হলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ মালদহ মেডিক্যালে স্থানান্তর করে দেন। রক্তের জন্যও মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্কই ভরসা। ফলে এরপর থেকে অনেকেই রোগীদের প্রথম অবস্থাতেই মেডিক্যালে ভর্তি করবে। একটি প্যাথলজি সেন্টারের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা লকডাউনের মাঝেও পরিষেবা সচল রেখেছিলাম। তবে কেউ কেউ তা রাখেনি।