বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আমগুড়ির ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে শতাধিক আবাসিক রয়েছেন। আবাসিকদের অভিযোগ, তাঁদের প্রথমদিন থেকেই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে গরম ভাত, ডাল, সব্জি দেওয়া হচ্ছে। প্লাস্টিকের মধ্যে খাবার দেওয়া ঠিক নয় জানালেও কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি। এদিন সকালে সামান্য চিঁড়া, দই দেওয়া হয়। যে পরিমাণ দই গ্লাসে দেওয়া হয়েছে, তাতে চিঁড়ার এক অংশও ভেজেনি। শুধু তাই নয়, অল্প খাবার দেওয়া হয়। তাতে পেট ভরে না। অন্যদিনের তুলনায় এদিন সকালের খাবার এতটাই কমছিল, যে আবাসিকরা রাগে তা ফেলে দেন।
ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টোশ শেরপা বলেন, প্রতিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ভালো খাবারই দেওয়া হচ্ছে। এক একজনকে মাথাপিছু সকালে ৩০ টাকা, দুপুর ও রাতে ৬০ টাকা করে সব মিলিয়ে দিনে মোট ১৫০ টাকার খাবার আমরা দিচ্ছি। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে খাবার দেওয়ার কথা নয়। আবাসিকদের অভিযোগ আমি নিজে খতিয়ে দেখব।
অপরদিকে, এদিন ব্লকের দোমহনি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলার দাবিতে এলাকার লোকজন বিক্ষোভ দেখান। বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামে প্রচুর লোকজন বাইরে থেকে ফিরছেন। তাঁদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার না হলে তাঁরা বাইরে ঘুরে বেড়াবেন। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাঁরা গ্রামে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলার দাবিতে দোমহনি থেকে জলপাইগুড়ি যাওয়ার রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান। পরে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজনকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠান।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আগে গ্রামের কিছু লোক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে বাধা দিয়েছিলেন। এখন তাঁরাই চাইছেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হোক। কারণ যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন, তাঁরা সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে না থাকলে আমরা সুরক্ষিত থাকব না। শনিবার একজন দিল্লি থেকে আসেন। সরকারি নির্দেশে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। কিন্তু তাঁর বাড়ির অন্য সদস্যরা বাইরে বেরচ্ছেন। সেই কারণেই আমরা এলাকার সরকারি কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার দাবি করেছি।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, যে ছেলেটিকে নিয়ে গ্রামবাসীরা আপত্তি তুলেছিলেন, তাঁকে বোলবাড়ি নীলকান্ত পাল হাইস্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।