প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গিটোলা এলাকার জাহিরটোলা গ্রামের বাসিন্দা লালু শেখ(৪০) স্থানীয় একটি ইঁটভাটায় মজুরের কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী জাহানারা বিবি জানান, ৫ মে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই শ্রমিক। প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসা করা হয় লালু শেখের। সেখানেই তাঁর ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। তারপর তাঁকে কলকাতায় রেফার করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মৃত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করে ১৪ মে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় ওই মজুরকে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পরের দিনই তাঁর সোয়াব সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি ব্লাড ক্যানসারের চিকিৎসাও চলতে থাকে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ মে মধ্যরাতে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী জাহানারা বিবি বলেন, পরের দিন দেহ আনতে গেলে এনআরএস মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সোয়াব পরীক্ষার ফলাফল তখনও এসে পৌঁছয়নি। ফলাফল জানা গেলেই মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
মৃতের ভাই টানু শেখ বলেন, আমাদের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। আমি নিজেও মজুরের কাজ করি। মৃত দাদার তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে দুইজনই নাবালক। অপরজন গুজরাতে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে লকডাউনের কারণে আটকে পড়েছে। এই অবস্থায় কবে ওই সোয়াব পরীক্ষার ফল জানা যাবে আর কবে শেষকৃত্য করা সম্ভব হবে তা পুরোটাই অনিশ্চিত। আমরা চরম অসহায় অবস্থায় রয়েছি।
মৃত শ্রমিকের পরিবারের দাবি, মৃতের সোয়াব সংগ্রহের পরে কেটে গিয়েছে নয় দিন। মৃত্যুর পরেও অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে পাঁচ দিন। কিন্তু এতদিনেও সোয়াব পরীক্ষার ফলাফল না আসায় মৃতদেহ হাতে পাচ্ছেন না তাঁরা। ফলে চরম সঙ্কটে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে নিয়মানুযায়ী যা করার করা হোক। আর ফল নেগেটিভ হলে যত দ্রুত সম্ভব পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হোক শেষকৃত্যের জন্য।
পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য তথা রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মৌসম নুর বলেন, আমি ওই পরিবারের সমস্যার কথা শুনেছি। নিজে থেকে বিষয়টি নিয়ে তদারকি করব। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেও সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। আমার বিশ্বাস দ্রুত সুরাহা পাবে ওই পরিবার।