প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
করোনামুক্ত ওই রোগীদের মধ্যে একজন মেডিক্যালের চিকিৎসক। টানা ২৪ দিন তিনি করোনার সঙ্গে লড়াই করেছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, রেড জোন কলকাতা থেকে ফেরার পর ওই চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হন। ১ মে তাঁকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই চিকিৎসকের সঙ্গে এদিন আরও দু’জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন আলিপুরদুয়ার জেলার এক যুবক। তিনিও করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ মে ভর্তি হন। আরএকজন চেন্নাইয়ের এক অ্যাম্বুলেন্স চালক। অসমে রোগী নামিয়ে চেন্নাই যাওয়ার সময় তিনি পুলিসের হাতে ধরা পড়েন। ৩০ এপ্রিল তাঁকে এখানে ভর্তি করা হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের চিকিৎসকরা বলেন, পরপর দু’বার সোয়াব টেস্টে ওই রোগীদের করোনা নেগেটিভ এসেছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবালম বলেন, সুস্থ হয়ে ওঠার ওই তিনজনকে কোভিড হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, এদিন ছুটি দেওয়ার সময় হাততালি ও ফুলের তোড়া দিয়ে ওই ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানানো হয়। করোনা জয়ীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। এ নিয়ে শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতাল থেকে ২৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে সেখানে ভর্তি আছেন পাঁচজন। করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গে নিযুক্ত ওএসডি সুশান্ত রায় বলেন, করোনা মানেই মৃত্যু নয়। এই রোগের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। কাজেই করোনা নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হবেন না। শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই এই রোগকে পরাজিত করা সম্ভব।
শুধু তাই নয়, একমাসেরও বেশি সময় পর মাটিগাড়ার শান্তিনিকেতন হাউজিং কমপ্লেক্স থেকে কন্টেইনমেন্ট জোন মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে এদিন। স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসন সূত্রের খবর, একমাস আগে ওই হাউজিংয়ের বাসিন্দা মেডিক্যালের এক নার্স করোনা আক্রান্ত হন। এমনকী তাঁর স্বামী, ছেলে ও মা একই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপরই সংশ্লিষ্ট হাউজিংকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেখানকার আবাসিকদের বাইরে বেরতে দেওয়া হচ্ছিল না। বাইরে থেকেও কাউটে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। একইসঙ্গে সেখানকার আবাসিকদের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, একমাসেরও বেশি সময় ধরে ওই হাউজিংয়ে নতুন করে কোনও করোনা রোগীর হদিশ মেলেনি। তাই এলাকাটিকে কন্টেইনমেন্ট মুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে শিলিগুড়ি শহরের ৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কন্টেইনমেন্ট জোনের আওতায় রয়েছে। ১ নম্বর ওয়ার্ডকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, শনিবার করোনার উপসর্গ থাকা এক বিচারাধীন বন্দিকে শিলিগুড়ির সারি হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ায় জোর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালে বন্দিদের চিকিৎসা করানোর আলাদা সেল রয়েছে। তাই নিরাপত্তার অভাবের অজুহাত দিয়ে সারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই বন্দিকে ভর্তি নেবে না, তা মানা যায় না। এজন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিংবা বন্দিদের জন্য আলাদা সেলের পরিকাঠামো না থাকলে তা অবিলম্বে গড়া দরকার।
শিলিগুড়ি সংশোধনাগাড়ের সুপার কৃপাময় নন্দ বলেন, ওই ঘটনা স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানানো হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য বলেন, ওই ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেব। নিরাপত্তারক্ষীর উপস্থিতি হাসপাতালে বন্দিদের চিকিৎসা হওয়ার কথা।