প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
দার্জিলিং জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন শাখার আধিকারিক সৌমেন্দু বিশ্বাস বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির দু’টি সঙ্ঘকে দিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করা হচ্ছে। দু’টি সঙ্ঘে ১৫ জন করে মোট ৩০ জন মহিলা এই কাজ করছেন। এজন্য তাঁদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা।
সঙ্ঘের মহিলারা বলেন, অ্যালকোহল, গ্লিসারিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও পরিস্রুত জল দিয়ে তা তৈরি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপকরণগুলি সরবরাহ করছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন শাখা। সঙ্ঘের তৈরি স্যানিটাইজার গোষ্ঠীর মহিলাদের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বিলি করা হচ্ছে।
করোনা বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলির স্যানিটাইজার অন্যতম। বিশেষজ্ঞ সহ চিকিৎসকরা ঘন ঘন হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। বর্তমানে খোলা বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বানানো হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম আকাশছোঁয়া। তা আবার সর্বত্র মিলছেও না। তাই রাজ্য সরকারের নির্দেশে শিলিগুড়ির দু’টি মহিলা সঙ্ঘ হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করছে। একটি সঙ্ঘ নকশালবাড়িতে, আরএকটি মাটিগাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এক সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট দু’টি সঙ্ঘ প্রস্তুত করেছে প্রায় ১২৬২ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার। যা ৬০, ১০০ এবং ২০০ এমএলের কন্টেনারে করে বিলি করা হয়েছে। ৬০ এমএলের দাম ৩০ টাকা, ১০০ এমএলের দাম ৫০ টাকা এবং ২০০ এমএলের দাম ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেগুলি বিভিন্ন বিডিও অফিস, ব্যাঙ্ক, ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় বিলি করা হয়েছে। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেই ওসব গ্রামবাসীদের কাছেও পৌঁচ্ছে দেওয়া হয়েছে। এবার ৫০০ এমএলের কন্টেনারে করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি করা হবে।