প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মালদহ শাখায় গ্রাহকদের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছিল করোনা সংক্রমণ রুখতে। গ্রাহকদের নির্দিষ্ট সংখ্যায় ব্যাঙ্কে ঢুকতে দেওয়া হয়। ব্যাঙ্ক কর্মীদের জন্য ছিল স্যানিটাইজার, মাস্ক ও গ্লাভসের ব্যবস্থা। গ্রাহকদের ব্যাঙ্কে ঢোকার আগে হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। একই ব্যবস্থা ছিল ওই ব্যাঙ্কের মালদহ শাখার এটিএমের সামনেও।
ইংলিশবাজার পুরসভায় এদিন কাজ করতে দেখা যায় চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ ও ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকারকে। নীহারবাবু বলেন, পুরসভার নির্দিষ্ট কয়েকটি বিভাগের পাশাপাশি অ্যাকাউন্টস দপ্তরও খোলা রাখতে হয়েছে কর্মীদের বেতন দেওয়ার কাজ করার জন্য। দুলাল সরকার বলেন, ক্রুড ফিনাউল মেশানো জল দিয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ধোওয়া হচ্ছে দুপুরের পর থেকে।
এদিন বাজার বন্ধ করা নিয়ে কঠোর ভূমিকা নেয় প্রশাসন। বিভিন্ন বাজার কমিটির কর্তাদের দেখা যায় হ্যান্ডমাইক নিয়ে সকাল ১১ টার মধ্যে ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ করার অনুরোধ করতে। নির্দিষ্ট সময়ের পরে বন্ধ করে দেওয়া হয় মকদুমপুর বাজারের মূল দরজা।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা ৭৫জন বেদে সম্প্রদায়ের বাসিন্দাকে ফেরত পাঠান হয় গাড়িতে করে। এতদিন তাঁদের খাওয়া ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিয়েছিল জেলা প্রশাসনই। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে নিজেদের চাকরির অ্যাপ্রুভালের দাবিতে ও বাইরে থেকে কর্মী এনে কাজ করানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রর কাছেও। তবে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পুরাতন মালদহ শহরের লকডাউন উপেক্ষা করেই দিব্যি রাস্তায় বের হচ্ছেন বাসিন্দারা। শহরের মূল বাজার, শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেটের চিত্রটাও এদিন ছিল সেরকমই। সব্জি বাজার স্থানান্তরিত করলেও সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পুলিসের টহলদারি ভ্যান ঘোরাঘুরি করলেও এবিষয়ে কোনও নজর দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। শরৎচন্দ্র মিনি মার্কেট কমিটির সভাপতি অসীম ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, মার্কেটের ভিড় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। আমরা এবিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছি। বাসিন্দারা বলেন, শুধু সদর শহর ইংলিশবাজারে পুলিসের কড়া নজরদারি রয়েছে। বাকি অন্যান্য এলাকায় কোনও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেই।