কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
পুলিস এবং স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় গঙ্গার চর থেকে এক যুবতীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করেন। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। নলি কেটে খুনের পর ওই যুবতীর দেহ বস্তায় ভরা হয়েছিল। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য গঙ্গার চরে ফেলে দেওয়া হয়। মৃত যুবতীর বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার চক সুজাপুর গ্রামে। পুলিস এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পাশের এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গেও ওই যুবতীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বছরখানেক আগে ওই যুবতী তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। কিছুদিন তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। তবে প্রেমিকের পরিবারের তরফে তাঁকে মেনে নেওয়া হয়নি। তাঁরা আইন মেনে বা সামাজিকভাবে বিয়েও করেননি বলে যুবকের পরিবারের দাবি। ফলে কিছুদিনের মধ্যে ফের ওই যুবতী নিজের বাড়ি ফিরে যান। তবে ওই যুবকের সঙ্গে মৃত যুবতীর যোগাযোগ ছিল বলে পুলিস জানতে পারে। এদিকে, ধৃত ত্রিদিব ওই যুবতীর দাদার বন্ধু। সেই সূত্রে ওই যুবতীর বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ফলে ওই যুবতী সম্প্রতি ত্রিদিবের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ত্রিদিব এলাকার একটি ইটভাটায় হেডমিস্ত্রির কাজ করে। ভাটার একটি চালাঘরে সে থাকত। ওই ভাটা যুবতীর বাড়ির কাছাকাছি। তিনি ভাটায় গিয়ে ত্রিদিবের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতেন। ইটভাটার ঘরেই সে প্রণয়ীকে নলি কেটে খুন করে। পরে বিষয়টি কয়েকজন বন্ধুকে জানায়। বন্ধুদের সাহায্যে সে যুবতীটির দেহ বস্তায় ভরে গঙ্গায় ফেলে দেয়। শীতকাল থাকায় দেহে পচন ধরতে দেরি হয়। তাছাড়া বস্তার বেশিরভাগ অংশ গঙ্গার ঠাণ্ডা জলে থাকায় দেহ পচে গলে যায়নি। ত্রিদিব জেরায় পুরো বিষয়টি স্বীকার করেছে। ঘটনার দিন পরনের জামা এবং খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ চলছে। ধৃতের দুই বন্ধুকেও আমরা আটক করেছি।