ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
উল্লেখ্য, রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো মালদহেও টোটোর রমরমা চোখে পড়ে। তবে অন্যান্য জেলার তুলনায় মালদহে টোটোর সংখ্যা বেশি বলে পুলিস ও প্রশাসন জানিয়েছে। জেলার সদর শহর ইংলিশবাজারে টোটোর দাপট সবচেয়ে বেশি। মাসছয়েক আগেও শহরে দৈনিক ৩০ হাজারেরও বেশি টোটো চলাচল করত। ওইসময় শহরের রাস্তায় পা ফেলার জো ছিল না। পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংলিশবাজার শহরের প্রায় তিন হাজার টোটো রয়েছে। ওই সংখ্যক টোটো শহরে চলাচল করলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আশপাশের এলাকা বিশেষত, পুরাতন মালদহ এলাকার বহু টোটো শহরে যাত্রী পরিবহণের কাজ করে। ফলে ইংলিশবাজার শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় টোটোর উপর নিয়ন্ত্রণের দাবিতে শহরবাসী সরব হয়। বাসিন্দাদের চাপে পুলিস ও প্রশাসন সক্রিয় হয়। বেআইনিভাবে চলাচলকারী টোটোর বিরুদ্ধে পুলিস ধারাবাহিক অভিযান শুরু করে। গ্রামাঞ্চল এবং পুরাতন মালদহ শহরের টোটো ইংলিশবাজারে ঢোকার ক্ষেত্রে পুলিস নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এব্যাপারে নজরদারির জন্য মহানন্দা নদীর সেতুর উপর পুলিস পিকেটও বসানো হয়।
এদিকে, টোটোর পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ইংলিশবাজারে শুধুমাত্র ই-রিকশ চালানোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়। ইতিমধ্যে শহরে পুরোনো টোটো ভেঙে ফেলার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে জেলা কালেক্টরেট চত্বরের ফাঁকা ময়দানে প্রশাসনের তরফে প্রায় ৫০টি টোটো ভেঙে ফেলা হয়। টোটো চালকরা প্রশাসনের কাছে ওইসব টোটো ভেঙে ফেলার জন্যই জমা দিয়েছিলেন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হবে। তখন প্রশাসন রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে টোটো ভেঙে ফেলবে বলে আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন। এদিকে, ইংলিশবাজার শহরে ই-রিকশ বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে টোটো চালক তথা ক্রেতারা শুক্রবার নীহারবাবুর দ্বারস্থ হন।
এদিন নীহারবাবু বলেন, বর্তমানে শহরে ২০ হাজারেরও বেশি টোটো চলাচল করে। বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, পুরাতন মালদহ, বামনগোলা, গাজোল থেকেও টোটো নিয়ে চালকরা শহরে আসছেন। ই-রিকশ চালু হয়ে গেলে মেরেকেটে পাঁচ হাজারটি চলাচল করবে শহরে। সেজন্য ইতিমধ্যে চালকরা আমাদের কাছে অনুমতি নিয়েছেন। ওই অনুমতি প্রদানের সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে এর বেশি সংখ্যক ই-রিকশকে অনুমতি দেওয়া হবে না। শহরে ২০টির মতো অনুমোদিত ই-রিকশর দোকান রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেশি টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা সেসব দোকান বন্ধ করে দেব। এদিন ই-রিকশর ক্রেতাদের বিষয়টি নিয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। অনেকেই টোটোর পরিবর্তে ই-রিকশ কিনতে শুরু করেছেন।