ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে হাজির থাকা অধ্যাপক বিকাশ রায় টেলিফোনে কলকাতা থেকে বলেন, স্কলারশিপ কেলেঙ্কারি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এই চেষ্টা করা হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন উপস্থিত প্রায় সব সদস্যই। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কেলেঙ্কারির তদন্তে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিষয়টি নিয়ে এফআইআর করা হবে। একই সঙ্গে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কর্তাদেরও জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে এই বৈঠকে
তবে এই স্কলারশিপ কেলেঙ্কারি ছাড়াও এদিনের বৈঠক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীদের সংগঠনের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের নতুন করে সংঘাতের ইঙ্গিত মিলেছে। সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু ইউনিয়নের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সম্পাদক শুভায়ু দাস বলেন, আমাদের সঙ্গে কার্যত প্রতারণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ঠিক আগের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আমরা স্থায়ী কর্মী না হলেও রোপার ন্যূনতম বেতন আমাদের দেওয়া হবে। কিন্তু এদিন আমাদের বলা হয়, এই বর্ধিত বেতন দেওয়া যাবে না। বড়জোর চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা থোক দিয়ে দেবে কর্তৃপক্ষ। তা ভাগ করে নিতে হবে আমাদের সবাইকে। এই প্রস্তাব অত্যন্ত অপমানজনক এবং পূর্বতন বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। আমরা এটা মানতে পারব না। প্রয়োজনে নতুন করে আন্দোলন হবে।
এদিকে অশিক্ষক কর্মীদের সংগঠন প্রশ্ন তুলেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো ওয়াইফাই বিল নিয়েও। তাঁরা বলেন, ওয়াইফাইয়ের বিল দেওয়া হয়েছে ৯৯ লক্ষ টাকারও বেশি। এই সব বিল দিতে অর্থের সমস্যা হয় না। যত সমস্যা আমাদের সামান্য বেতন বাড়াতে। তাঁরা বলেন, কিছু বিল পাশ করানোর লক্ষ্যেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। কিছু ব্যক্তির স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এই বৈঠকগুলির মূল উদ্দেশ্য। আরেকটা উদ্দেশ্য হল বড় বড় অঙ্কের বিল পাশ করিয়ে নেওয়া।
এপ্রসঙ্গে পদত্যাগী উপাচার্য কিংবা অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের বক্তব্য না পাওয়া গেলেও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত অডিটর তথা উপ পরীক্ষা নিয়ামক বিনয় হালদার বলেন, বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে আর্থিক বিষয়গুলি দেখভাল করা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেতন বাড়ানোর মত সামর্থ্য এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই।