কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
বঙ্গরত্ন সম্মাননা পাওয়ার পরে বিশ্বনাথবাবু বলেন, আমি কারিগর শ্রেণির মানুষ। আমি কবিতা লিখি, আমি সেমিনার করি। ছোটবেলা থেকেই আমি লড়াই করে আসছি। এই কাজ করা মানুষকে এই সম্মাননা দেওয়া নিয়ে আমার একটু খটকা রয়েছে। আমার মনে হয়, আমার জেলাতে আমার চেয়েও যোগ্য মানুষ হয়েছে, তাঁদেরও সম্মাননা দেওয়া উচিত। এমনিতে খুব ভালো লাগছে। সবাই ফোন করছেন। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তবে বারবার মনে হচ্ছে, যেন খুব বেশি পেয়ে গেলাম।
এবিষয়ে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারর্পাসন অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমাদের জেলার একজন বিশিষ্ট কবি ও সমাজসেবী পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। আমাদের জেলার কাছে খুবই গর্বের ব্যাপার।
বিশ্বনাথ লাহা দীর্ঘদিন ধরে কাব্যরচনার সঙ্গে যুক্ত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজ সচেতনামূলক কাজও করেন। তাঁর হাত ধরেই বালুরঘাট শহরে উত্তরের রোববার সাহিত্য সভার পথচলা শুরু হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জেলা তো বটেই, এমনকি বাংলাদেশ থেকেও সাহিত্যিকরা এসে যোগদান করেন। এছাড়াও বিশ্বনাথবাবু বহু জায়গা থেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ষ একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন।
এদিকে, বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত উত্তরবঙ্গ উৎসব অনুষ্ঠানে এদিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন অর্পিতা ঘোষ, জেলাশাসক নিখিল নির্মল, পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত, মহকুমা শাসক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। দু’দিন ধরে উত্তরবঙ্গ উৎসবে নানা সাংস্কৃতিক ও লোকশিল্পের অনুষ্ঠান চলবে।
অন্যদিকে, বালুরঘাটের পাশাপাশি সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরেও শুরু হলো দু’দিনের উত্তরবঙ্গ উৎসব। এদিন গঙ্গারামপুর হাই স্কুল মাঠে অস্থায়ী মঞ্চ করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, বিধায়ক গৌতম দাস, গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র দেবনাথ সহ বিশিষ্ট জনেরা। দু’দিন ধরে জেলার শিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত ওই উৎসবে থাকবে বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানও। নৃত্য, সঙ্গীত, নাটক, আবৃত্তি পরিবেশন করবেন গঙ্গারামপুর মহকুমার চারটি ব্লক ও দুটি শহরের শিল্পীরা। এবারে ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ করে সুযোগ মিলেছে জেলার লোকশিল্পীদের। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মহকুমার বিশিষ্ট জনদের সম্মানিত করা হয়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা বলেন, উত্তরবঙ্গ উৎসব মূলত জেলা সদরে হতো। এখন তা মহকুমা পর্যায়ে চলে এসেছে। এই উৎসব এখন উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে আত্মার উৎসব। এখানে জেলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। আমাদের জেলার শিল্পীরা খন পালা, ভাওয়াইয়া, গম্ভীরা, লোকনাটক উপস্থাপন করার সুযোগ পাবেন।