কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
মালদহ জেলা বইমেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁদের মাঠে বইমেলা করার অনুমতি এবারও দিতে পারছেন না তাঁরা। ফলে বইমেলার স্থান নির্বাচন নিয়ে আবারও সমস্যা তৈরি হয়েছে। কোথায় বইমেলা হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ২২ অক্টোবর মালদহ কলেজ মাঠে বইমেলা করতে চেয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। কিন্তু দিন তিনেক আগে মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষ জবাবী চিঠিতে জানিয়েছেন, নানা কারণে বইমেলার জন্য এই মাঠ ব্যবহার করতে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
চিঠিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ একাধিক কারণের কথা উল্লেখ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য এবার মালদহ কলেজকে বেছে নিয়েছে ডাইরেক্টরেট অব পাবলিক ইন্সট্রাকশন (ডিপিআই)। প্রতি বছর রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে এই প্রতিযোগিতা হয়। ডিসেম্বর মাস বা জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা শুরু করে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তা শেষ করতে হবে বলে ডিপিআই থেকে নির্দেশ এসেছে।
পাশাপাশি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিসিএস) চালু করায় জানুয়ারি মাসে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা হওয়ার কথা। বইমেলা হলে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হবে বলে মনে করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক) মালদহ কলেজ পরিদর্শনে আসছে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে। মাত্র দু’দিনের নোটিসে ন্যাক পরিদর্শনে আসে। ফলে বইমেলার পরে হঠাৎ নোটিস পেয়ে মাঠকে পরিদর্শনের উপযুক্ত করে তোলা সম্ভব না বলেই মনে করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অধ্যক্ষ মানস বৈদ্য বলেন, আমরা বইমেলা কমিটির চিঠি পেয়ে তার জবাব দিয়েছি।
জেলা গ্রন্থাগারিক প্রবোধ মাহাতোও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, আমাদের ও বইপ্রেমীদের দাবি, সুষ্ঠুভাবেই বইমেলা হোক।
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদেরও ওই বৈঠকে থাকার কথা।
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে মালদহে বইমেলা শুরু হয়। প্রথমে ছোট আকারে মালদহ টাউন হল সংলগ্ন এলাকায়, পরে পরিসর বাড়লে বৃন্দাবনী ময়দান ও তারপরে ১৯৯৫ সাল থেকে মালদহ কলেজের মাঠে শুরু হয় মালদহ বইমেলা। রাজ্যের প্রথিতযশা প্রায় সব সাহিত্যিকই এসেছেন মালদহ বইমেলার উদ্বোধনে। উদ্যোক্তাদের দাবি, সাত দিনে বিক্রি হয় প্রায় এক কোটি টাকার বই।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নিজেদের মাঠ বইমেলা কমিটিকে দিতে অস্বীকার করেন মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষ। তখন তাঁরা প্ল্যাটিনাম জুবিলি অনুষ্ঠানকে কারণ হিসাবে দেখিয়েছিলেন। ফলে বইমেলা সরে গিয়েছিল মহানন্দা নদীর তীরে সদর ঘাটে।