ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
গত মাসের শুরুতে আদালত চত্বরে গ্রেপ্তার হন ইমরান। এরপরেই পাকিস্তানজুড়ে হিংসা ছড়ায়। এই ঘটনায় পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের উপর অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হচ্ছেন ইমরানের দলের নেতারা। কিছুদিন আগেই পাক সরকারের এক মন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে সেনার উপর পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ করে পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে সেনা ও শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে ফের সরব হয়েছেন ইমরান। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, পিটিআইকে দুর্বল করতে সচেষ্ট সেনাবাহিনী। এজন্য বেছে বেছে তাঁর দলের নেতা ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, দেশের চলতি অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য শাহবাজ সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, গত বছরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও জনপ্রিয়তার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছেন ইমরান। এরইমধ্যে আগামী অক্টোবরে পাকিস্তানে ভোট। এই আবহে কাপ্তানের দাবি, ভোটে পিটিআইকে আটকাতে মরিয়া সেনা। তিনি বলেন, ‘যে মুহূর্তে শাসক গোষ্ঠী বুঝবে যে তাঁর দল আর ভোটে জেতার মতো অবস্থায় নেই তখনই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।’
পাকিস্তানে বরাবরই প্রভাবশালী সেনাবাহিনী। দেশে নির্বাচিত সরকার থাকলেও অর্থনীতি ও বিদেশ নীতি সহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে শেষ কথা বলে সেনাই। দীর্ঘদিনের সেই পরম্পরার তীব্র বিরোধিতা করেছেন ইমরান। তিনি জানান, আরও একটা পুতুল সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে চাইছে সেনা। যাতে আগের মতো সহজেই সরকারের উপর ছড়ি ঘোরানো যায়। বর্তমানে আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান। কাপ্তানের দাবি, এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন এক মজবুত সরকারের। কিন্তু এমনটা কিছুতেই হতে দেবে না সেনাবাহিনী।