ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
বাসিন্দারা জানান, ওই গ্রামে ঢোকার মুখেই রয়েছে পুকুরটি। কিছুদিন ধরেই সেটির সংস্কার চলছে। কিন্তু পুকুর সংস্কারের সময় সেখান থেকে ভালো মানের বালি উঠতে দেখা যায়। এরপর নিয়মনীতি না মেনে রীতিমতো পুকুরে জেসিবি নামিয়ে চলছে বালি ও মাটি তোলার কাজ। রাতের অন্ধকারে বালি মাফিয়ারা সেই বালি বিক্রি করছে।
এনিয়ে পুকুরের পাশের বাসিন্দারা প্রতিবাদ করতে গেলে হুমকি মিলছে বলে দাবি। সুস্মিতা বাগদির অভিযোগ, যেভাবে মাটি তোলা হচ্ছে, তাতে আমার ছোট বাচ্চা পুকুরে পড়ে গিয়ে অঘটন ঘটতে পারে। প্রতিবাদ করতে গেলে ‘বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেব’ বলে হুমকি দিচ্ছে ওরা। বলা হচ্ছে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। অপর বাসিন্দা অসিতকুমার ঘোষ বলেন, ওই পুকুরে আমারও অংশ রয়েছে। কিন্তু আমাকেও কিছু জানানো হচ্ছে না। এভাবে পুকুর খনন করা বন্ধ হোক। তবে ভয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতে পারছি না। পুকুর মালিক বীরেন্দ্রকুমার ঘোষ বলেন, কারও কোন অসুবিধা থাকলে পুকুর খনন বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে কাউকে কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি।
এবিষয়ে কান্দি এসডিএলআরও অফিসের এক অফিসার জানান, ওই পুকুর খনন করার সময় আমাদের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন বালি বা মাটি চুরি করে বিক্রি করার বিষয়টি জানায়নি। তবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রুচিরা ত্রিবেদী বলেন, ওই পুকুরের বালির গুণমান এতটাই ভাল যে, নদীর বালিকেও হার মানাবে। বালি মাফিয়ারা রাতের অন্ধকারে ওই বালি বিক্রি করছে। এমনকী ওই পুকুরের বালি সরকারি কাজেও ব্যবহার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নিজস্ব চিত্র