Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই
এক নেতার অভিষেক
হিমাংশু সিংহ

‘যিনি মানুষের মনে আশা জাগাতে পারেন তিনিই নেতা।’ কথাটা আমার নয়। বলে গিয়েছেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। সেখানে অবশ্য আদর্শ নেতার বয়সের কোনও উল্লেখ 
তিনি করেননি। কিন্তু বাংলার মানুষের মনে গত ৩৯ দিন ধরে ক্রমাগত সেই আশারই সঞ্চার করে চলেছেন এক তরুণ। ক্রমাগত কেন্দ্রের বঞ্চনা। প্রাপ্য অর্থ আটকে রাখা। এজেন্সির সন্ত্রাস, বিমাতৃসুলভ মনোভাব তথা যাবতীয় কেন্দ্রীয় আক্রমণের বিরুদ্ধে তিনি যেন জীবন্ত প্রতিবাদ। বাংলার স্বার্থ ছাড়া আর সবকিছুই তাঁর কাছে নগণ্য।
জন্ম ৭ নভেম্বর, ১৯৮৭। সেই হিসেবে এখন তাঁর বয়স মাত্র ৩৫ বছর সাতমাস। জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ৬৪ বছর বয়সে, আর সিদ্ধার্থশংকর রায় ৫২ বছরে। আর ইনি এর মধ্যেই রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গ রাজনীতির শুধু অন্যতম আলোচিত মুখই নন, অধুনা প্রধান নিয়ন্ত্রকও বটে। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর কেন্দ্রে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে মমতার ধূমকেতুর মতো আত্মপ্রকাশের তিনবছর পর তাঁর জন্ম। কিন্তু এত কম বয়সেও চালচলন, বাচনভঙ্গি, কৌশলী রাজনৈতিক পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই তাঁকে একজন পরিপূর্ণ নেতার মর্যাদা দিয়েছে। টানা দু’মাস বাংলার প্রতিটি জেলায় নিরবচ্ছিন্নভাবে তাঁবু খাটিয়ে জনগণের অভাব অভিযোগ শোনার দুঃসাহস খুব একটা দেখাতে পারেননি কেউ। বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে তাঁর সেই যাত্রা আজ প্রায় ৩৯ দিনের মাথায় হাওড়ায় পৌঁছেছে। প্রবল দাবদাহ, জনতার আবদার মেটাতে গিয়ে শরীর ক্লান্ত, গলা ভাঙা, তবু দীর্ঘ ২০ কিলোমিটারের পদযাত্রায় ছেদ পড়েনি এতটুকুও। রাস্তায় দাঁড়িয়ে গোটা নন্দীগ্রামের মানুষ হাত নাড়ছে।
তাঁর দু’মাসের এই নবজোয়ার যাত্রা ২৫ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলা থেকে শুরু হয়। অনেক নিন্দা, দেদার টাকার শ্রাদ্ধ হচ্ছে বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ, সার্কাসের তাঁবু বলে কটাক্ষ এবং 
পুলিস দিতে গিয়ে থানা ফাঁকা রাখার কুৎসা সব ভোঁতা করে ‘ভাইপো’র জয়যাত্রা কিন্তু তার কক্ষপথে অবিচল। লক্ষ্যে স্থির। কীভাবে একজন নেতার জন্ম হয়, তারই যেন চলমান ধারাবাহিক দেখছে বাংলা। কখনও বাসের মাথায় দাঁড়িয়ে হাত ছুড়ছেন, আবার কখনও জনতার সঙ্গে মিশে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে থাকায় সাধারণের অসুবিধার কথা তুলে ধরছেন। কখনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ঠিকমতো মিলছে কি না তার খোঁজ নিচ্ছেন।
গত একমাসেরও বেশি রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ একটার পর একটা জেলা চষে বেড়াচ্ছেন। অধিকাংশ সময়ই সাদা শার্ট আর জিন্সের প্যান্ট পরা আদ্যন্ত এক বাঙালি। জ্বালা ধরানো গরমের মধ্যে ঘরবাড়ি-পরিবার ব্যক্তিগত জীবন ছেড়ে এই নবজোয়ার যাত্রার দু’টো উদ্দেশ্য। এক নিজের দলকে আসন্ন নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা এবং সেইসঙ্গে ক্রমাগত জনসভা, রোড শো, ছোটবড় মিছিলের মধ্যে দিয়ে জেলার মানুষের পালসটা বুঝে নেওয়া। কোনও হোটেল নয়, গেস্টহাউস নয়, খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রিবাস। জনগণের সঙ্গে কথা শেষ হওয়ার পরই আলোচনায় বসছেন পঞ্চায়েত ভোটে কে প্রার্থী হবেন এবং তার  দলীয় ভোটদান প্রক্রিয়া নিয়ে। কোথাও গণ্ডগোল হলে আবার ভোটগ্রহণ এবং পার্টির বিবদমান দুই গোষ্ঠীকে সাবধান করা। কেমন করে চলতে হবে, দিচ্ছেন তার দিকনির্দেশও। কোনও কিছু থেকেই বিরত থাকেননি তিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকায়, মধ্যিখানে শুধু দু’দিনের জন্য ফিরেছিলেন কলকাতায়। নির্ধারিত সময়ের আগেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। তারপর আবার তাঁর নির্দিষ্ট কর্মসূচিতে ফিরে গিয়েছেন শৃঙ্খলাবদ্ধ দলের সুযোগ্য জেনারেলের মতোই। 
প্রিয়, সুব্রত, সোমেন এই বাংলায় ছাত্রনেতা হিসেবে সত্তরের দশকে একটা ছাপ ফেলেছিলেন। বর্তমানের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্ত প্রিয়-সুব্রত জুটি নিয়ে তাঁর পুরনো বহু লেখায় রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় তুলেছিলেন। দু’জনকেই অসম্ভব স্নেহও করতেন তিনি। সেই স্মৃতি আজ অনেকটাই ফিকে। তিনজনের কেউ আজ বেঁচে নেই। বিরোধীরা যতই কট্টর সমালোচনা করুন না কেন, বামফ্রন্টের ৩৪ বছরে মাত্র ৩৫ বছরের কোনও তরুণ বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে রাজ্যটা চষেছেন, তাঁবুতে রাত কাটাচ্ছেন এমন নজির নেই। হরেকৃষ্ণ কোঙার, দীনেশ মজুমদার, বিমান বসু, গৌতম দেবরা কোনও আন্দোলন সংগ্রাম যে করেননি, তা বলাটা ভুল হবে। কিন্তু সেটা কখনও এতবড় ক্যানভাসে ছড়াতে পারেনি। দুর্ভাগ্য বামেদের, ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা সম্ভাবনাময় সিপিএম নেতা দীনেশ মজুমদার মারা যান মাত্র ৪২ বছর বয়সেই।
এটা না বললে ভুল হবে সুভাষ চক্রবর্তীর মধ্যে সেই সম্ভাবনা ছিল। পুরোদস্তুর ছিল। হয়তো বুদ্ধদেব-অনিল বিশ্বাসের চেয়ে একটু বেশিই ছিল। কিন্তু ওই যে বললাম, পিছন থেকে জামা টেনে ধরে রাখার লোকের অভাব কোনওদিনও বাম দলে ছিল না। তাই অনিল বিশ্বাসদের চেয়ে মানুষের দরবারে বেশি গ্রহণযোগ্য ও ক্যারিশমার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও আজীবন জ্যোতিবাবুর নয়নের মণি সুভাষকে সামান্য জেলার নেতা হিসেবেই জীবন কাটাতে হয়েছে! সেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রতিনিয়ত তাঁকে পিছনে টেনে রেখেছে। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর চেয়ারটুকুও জোটেনি তাঁর। অথচ ব্রিগেড ভরাতে, দলের কোনও সঙ্কটমুহূর্তে বারবার তাঁরই ডাক পড়ত। বিতর্কিত ‘হোপ ৮৬’ থেকে হকার তুলতে ‘অপারেশন সানসাইন’—শুধু বিতর্ক মাথায় নিয়েই সুভাষের রাজনৈতিক জীবন কেটে গিয়েছে। বামেদের স্বর্ণযুগেও পূর্ণতা পেল না কোনওদিন। আর ক্ষীর খেতেন পাকাচুলের কিছু তাত্ত্বিক নেতা, যাঁদের পিছনে তেমন কোনও জনসমর্থন ছিল না। এখন দেখার, দলের এই কঠিন সময়ে মীনাক্ষী, ঐশী, দীপ্সিতাদের জন্য কোন ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে? দলের দুর্দিনে মীনাক্ষীকে আজ ব্যবহার করা হচ্ছে, সুসময় এলেই পাকা চুলের নেতারা আবার পিছন থেকে টেনে ধরেন কি না তাও কিন্তু ভাববার। আর কে না জানে প্রদেশ কংগ্রেস দীর্ঘদিনই রক্তশূন্য। হিমোগ্লোবিন পাঁচেরও নীচে!
এরাজ্যে বিজেপির সেই অর্থে কোনও নেতা কিংবা জননেতা নেই। এটা শুধু কাঁথি থেকে কাকদ্বীপ নয়—দিল্লির কী যুব, কী বৃদ্ধদের মধ্যেও। যা আছে সবই দলভাঙানো, দলবদলু কলঙ্কের দাগ মাথায় নেওয়া কিছু নেতা ও নেত্রী। দোআঁশলা চরিত্রের। আর আছেন হিন্দি বলয় থেকে আমদানি করা কিছু দেহাতি রাজনীতিক, সঙ্ঘ পরিবারের একনিষ্ঠ ছাত্র। আজীবন সপরিবারে তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট খাওয়া, কালীঘাটের দয়ায় বেড়ে ওঠা কেউ যদি আজ হঠাৎ ভোটের 
বাজারে এসে কেউকেটা হয়ে উঠতে চান, তাতে বিজেপির কী লাভ হবে? আসলে, এদের কারও মধ্যেই বাংলার নাড়ির টানটাই নেই। কেউ কেউ ভুল মনীষীর গলায় মালাও দিয়ে ফেলেন। রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের নামে একটা জগঝম্প সংস্কৃতি উপহার দেন। বুঝিয়ে দেন, এই বাংলা কোনওভাবেই এই নেতাদের রাজনীতির ময়দান হতে পারে না। তাঁরা ‘বহিরাগতই’, বিদেশিদের মতোই। বাংলার মাঠ-ময়দানের চরিত্র বুঝতে, পথ চিনতে, এদিক-ওদিক ঘুরতে ‘দলবদলু’ সারথি লাগে। সেই সারথি আবার বিজেপিতে পা বাড়িয়েও বলেন, কই কোনওদিন ওখানে তো যাইনি, তৃণমূলেই তো আছি! আসলে বিভ্রান্তি আর সংশয় পরতে পরতে। কারণ মোদিজি বেপরোয়া চেষ্টা করেও একুশে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে তাঁর গেরুয়া রথ। তাই একুশের বিধানসভা ভোটে ৭৭ জন জিতলেও এখন সংখ্যাটা কমে অনেক নীচে। আর যে-দল মানুষে-মানুষে বিভাজনের বিষ বপন করে আর হিন্দুত্বের কট্টর এজেন্ডা আঁকড়ে বসে থাকে, তারা আর যাই হোক, বাংলার মানুষের মনের ঠিকানায় পৌঁছতে পারে না। 
এরা গণতন্ত্রের পূজারী অথচ আসন্ন চব্বিশের লড়াইয়ের আগে দশ ক্লাসের সিলেবাস থেকে ‘গণতন্ত্র’ শীর্ষক অধ্যায়টাকেই বাদ দেওয়ার পণ করেছে। এরাজ্যে এখনও এতকিছুর পরেও গেরুয়া সংগঠন বলে কোনও বস্তু নেই। ক’টা বুথে তারা লোক দিতে পারবে, তা নিয়ে দিল্লির নেতৃত্বই চরম সন্দিহান। তাই বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে এবং সংগঠন মজবুত করতে নামানো হয়েছে তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। ইডি, সিবিআই জেরা করলে তৃণমূলের কাউকে ধরে আনলে বিরোধীদের তালি পড়ে। অন্যসময় কলকাতার মুরলীধর লেনে চূড়ান্ত নিস্তব্ধতা। হতাশা শুধু গুমরে গুমরে ওঠে।
নিন্দুকেরা অনেক কথা বলতে পারেন। গণতন্ত্রে বলতে কিছু বাধা নেই। কিন্তু ৩৫ বছর বয়সে এমন পরিণত দৃঢ়চেতা পরিমিত কথার নেতা শেষ কবে দেখেছে বাংলা? আর যাঁরা আইন থেকে বাঁচতে ক্রমাগত ‘ভাইপো’ বলে আড়াল থেকে আক্রমণ করছে তাদেরই বা এত ভয়ের কী আছে। অভিষেক তো আপনাদের নাম করেই জবাব দিচ্ছেন। আপনাদের নাম করে তোপ দাগার সৎ সাহস ওঁর আছে। নিন্দুকদের নেই। এখানেই আসল নেতা আর নকল নেতার পার্থক্য হয়ে যাচ্ছে নাকি? 
নব জোয়ারকে সঙ্গী করে অভিষেকের এই রাজনৈতিক দৌড় কোথায় শেষ হবে জানি না। রাজনীতিতে চড়াই-উতরাই ওঠাপড়া থাকেই। সাফল্য ব্যর্থতাও নিত্যসঙ্গী। সমালোচনা, কুৎসা চলার পথের পরতে পরতে থাকবেই। তবে বাংলার আগামী অন্তত চার দশকের রাজনীতির উত্থান-পতন যে আজকের মাত্র ৩৫ বছরের মেরুদণ্ড সোজা ভয়ডরহীন ছেলেটাকে ঘিরে আবর্তিত হবে, সে-ব্যাপারে আমি অন্তত নিশ্চিত। বাংলার গত অর্ধ শতকের আপসহীন জননেত্রীর সার্থক উত্তরাধিকার। বাংলার আর কোন দলে পরের প্রজন্মের এমন গ্রহণযোগ্যতা আছে? গবেষণা করুন, উত্তর খুঁজে পাবেন না।
04th  June, 2023
সেঙ্গোল যেন কোনও মতেই নত না হয়
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিকৃতিতে ওস্তাদগণ এবং বিজেপির বাজনদারদের দেওয়া সেঙ্গোলের চমকপ্রদ ব্যাখ্যা শুনে 
থাকলে তাঁদের সমাধি থেকেই উঠে আসবেন তিরুবল্লুবর, এলাঙ্গো আদিগল, আভাইয়ার এবং সঙ্গম কবিরা।
বিশদ

নবজোয়ারেই তৈরি হচ্ছে নতুন প্রজন্মের ভিত

কেউ বলছেন, সার্কাস হচ্ছে। তাই পড়েছে তাঁবু। কেউ বলছেন, কয়লা, গোরু পাচার ও নিয়োগ দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। আবার কারও মতে, এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জননেতা’ বানানোর গেমপ্ল্যান।
বিশদ

03rd  June, 2023
দশ বছরেও ধর্মই তাস!
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এক কথার মানুষ। তিনি তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন হাই ভোল্টেজ হিন্দুত্বকে সামনে রেখে। লালকৃষ্ণ আদবানির রথযাত্রার রোডম্যাপ কী হবে সেই পরিকল্পনা করেছিলেন প্রমোদ মহাজন। কিন্তু সেই প্ল্যান সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গুজরাত বিজেপির এক যুবক নেতাকে। বিশদ

02nd  June, 2023
নির্জলা নিয়তির অপেক্ষা!
মৃণালকান্তি দাস

মাত্র তিন মাসের মধ্যে জলশূন্য হয়ে যাবে গোটা কেপটাউন শহর! বিশেষজ্ঞদের এই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছিল ২০১৮ সালেই। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের প্রায় ৪০ লক্ষ নাগরিক রীতিমতো যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল। জল বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছিল গোটা শহর। যুদ্ধে শামিল সাধারণ মানুষ থেকে বড় বড় সংস্থাও।
বিশদ

01st  June, 2023
পুরাণের রাজার প্রত্যাবর্তন
হারাধন চৌধুরী

মহাভারতে যুধিষ্ঠির জানতে চেয়েছিলেন, রাজার উৎপত্তি কীভাবে? উত্তর দিতে গিয়ে পিতামহ ভীষ্ম যা বলেছিলেন, তার সারকথা হল—মানুষের লোভ আর মোহ থেকেই রাজার জন্ম। পৃথিবীর সূচনায় প্রতিটি মানুষ আপন শৃঙ্খলায় সুখে বসবাস করত। কিন্তু একদিন তাদের মনে লোভ বাসা বাঁধল, মানুষ মোহান্ধ হয়ে উঠল, তখনই সমাজে দেখা দিল বিশৃঙ্খলা, সেটা ক্রমে গড়াল মাৎস্যন্যায় পর্যন্ত।
বিশদ

31st  May, 2023
সরকারের পক্ষে জোরদার তালির বন্দোবস্ত হয়েছে
পি চিদম্বরম

আইপিএল ২০২৩-এর সেরা পাঁচ বোলারের মধ্যে চারজন স্পিনার—রশিদ খান, ওয়াই চাহাল, পীযূষ চাওলা এবং বরুণ চক্রবর্তী। একজন সাধারণ মানুষকে ব্যাপারটা অবাকই করেছে, কারণ তিনি জানেন যে, টি-টোয়েন্টি খেলাটি এমন দাপুটে ব্যাটসম্যানদের কথা মাথায় রেখেই সাজানো, যাঁরা স্পিন বোলারদের পিটিয়ে মাঠছাড়া করে দিতে মরিয়া।
বিশদ

29th  May, 2023
গণতন্ত্রই বিপন্ন, ইট-কাঠ-পাথরের সংসদে লাভ কী?
হিমাংশু সিংহ

আচ্ছে দিন মরীচিকা হয়ে থাকলেও আচ্ছে সংসদ ঘোর বাস্তব হয়েই ধরা দিচ্ছে। কীর্তি, সাফল্য তাঁর পিছু ছাড়ে না। ভক্তকুল নানা অবতারে তাঁর গরিমাকে তুলে ধরে। তবু সাধারণ মানুষের সমস্যা কমে না। বিতর্ক তাড়া করে প্রতি মুহূর্তে। সংবিধান ও গণতন্ত্রের সূতিকাগৃহ হল সংসদ। বিশদ

28th  May, 2023
সংগঠন নেই বঙ্গে, ধামাকাই
কি বিজেপির ভরসা?
তন্ময় মল্লিক

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পরপর তিনটি রাজ্যে হেরেছিল বিজেপি। আর তাতেই নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। ঠিক সেই সময়ে ঘটেছিল পুলওয়ামায় সেনা জওয়ানদের গাড়িতে জঙ্গি হামলা। তারপরই পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক। বিশদ

27th  May, 2023
রাষ্ট্র দেশবাসীকে অনিশ্চয়তাই দিয়ে চলেছে
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ নয়। আসলে একটা ভয়ের জন্ম হয়। যখন আমরা জানতে পারি রাষ্ট্র তার দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করছে। আবার রাষ্ট্রকে দেশবাসী বিশ্বাসও করছে না। রাষ্ট্র তার দেশবাসীকে মানুষ হিসেবে নয়, পুতুল হিসেবে দেখছে। রাষ্ট্র ভাবছে, আমি যখন যা করব, সেটা দেশবাসীর মেনে নেওয়াই ভবিতব্য। বিশদ

26th  May, 2023
কাশ্মীরে শ্মশানের শান্তি
মৃণালকান্তি দাস

পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে মুজফফরাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নীলম উপত্যকায় রয়েছে ১৮টি মহাশক্তি পীঠের অন্যতম শারদাপীঠ এবং শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। এক সময়ে সেই শারদাপীঠের উদ্দেশে তীর্থযাত্রা শুরু হতো কাশ্মীরের তিতওয়াল গ্রাম থেকে। বিশদ

25th  May, 2023
ব্যুমেরাং হচ্ছে মোদিজির সার্জিক্যাল স্ট্রাইক
সন্দীপন বিশ্বাস

মোদি সরকারের কফিনে প্রথম পেরেকটি মেরে দিল কর্ণাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যটি চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিল মোদি ম্যাজিকের শূন্যগর্ভ অহঙ্কার।
বিশদ

24th  May, 2023
রাজনীতি যখন মার্কেটিং
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সাবানের বিজ্ঞাপন। আটের দশকের শেষে দূরদর্শনে খেলা বা সিনেমা দেখার ফাঁকে উদয় হতো তার। সেই সময়ের নামজাদা কোনও নায়িকা, তিনি সাবান মাখছেন, আর সুন্দর হয়ে উঠছেন।
বিশদ

23rd  May, 2023
একনজরে
দীর্ঘদিন থেকে এলাকার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে থাকায় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। ...

ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় গ্রামের তিন যুবককে হারিয়ে শোকস্তব্ধ কাটোয়ার কড়ুই। রবিবার সন্ধ্যায় তিনজনের দেহ গ্রামে আসতেই কান্নায় রোল ওঠে। গোটা গ্রামজুড়ে শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ...

খিদিরপুর সুইমিং ক্লাবের শতবর্ষ উদাযাপনে বিশেষ উদ্যোগ। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘প্রাণা’র সঙ্গে যৌথভাবে এক মহৎ কর্মযজ্ঞে ...

পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের দু’টি প্রত্যন্ত গ্রামে পাওয়া গেল মারাত্মক মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট (এমডিআর) যক্ষ্মা রোগীর খোঁজ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস
৪৬৯ খ্রীষ্টপূর্ব: গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের জন্ম
১৮৮৯: ভারতবর্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রথম প্রচারক রাজেন্দ্রচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু
১৯৪০: প্রথম রাবারের টায়ার প্রদর্শিত হয়
১৯৫২: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক মুকেশ ভাটের জন্ম
১৯৬১: ভারতের টেনিস তারকা রমেশ কৃষ্ণানের জন্ম
১৯৭২: স্টকহোম বৈঠকে প্রতিবছর এই দিনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়
১৯৭২: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্ম
১৯৭৬: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী রম্ভার জন্ম
১৯৮৪: অমৃতস্বর স্বর্ণ মন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হামলা, উগ্রপন্থী ছয় শত হিন্দু নিহত
২০০৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৬ টাকা ৮৩.৩০ টাকা
পাউন্ড ১০০.৯৩ টাকা ১০৪.৪০ টাকা
ইউরো ৮৬.৭০ টাকা ৮৯.৮৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
04th  June, 2023
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬০,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
04th  June, 2023

দিন পঞ্জিকা

২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩। প্রতিপদ ৪/২১ দিবা ৬/৪০ পরে দ্বিতীয়া ৫৭/১৬ রাত্রি ৩/৫০। মূলা নক্ষত্র ৫১/১০ রাত্রি ১/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১৫, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/২৯ গতে ৪/১২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৫ গতে ৮/১৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ২/৫৫ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। 
২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩। প্রতিপদ দিবা ৭/৩১। মূলা নক্ষত্র রাত্রি ৩/২১। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩১ গতে ১০/১৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১১ গতে ১২/০ মধ্যে ও ১/২৫ গতে ২/৪৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩২ গতে ৪/১৪ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ২/৫৬ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬ গতে ১১/৩৬ মধ্যে।
১৫ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ফুরফুরা শরিফে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

05:25:00 PM

৭ ঘণ্টার মুক্তি মণীশ সিশোদিয়ার
অসুস্থ স্ত্রীকে দেখে আসার জন্য ৭ ঘণ্টা ছাড়া হল দিল্লির ...বিশদ

04:19:16 PM

মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে: মুখ্যমন্ত্রী

04:05:10 PM

যাঁরা ট্রমায় আছেন তাঁদের চারমাস ২ হাজার টাকা দেওয়া হবে: মুখ্যমন্ত্রী

04:03:00 PM

জখমদের দেখতে কাল কটক ও ভূবনেশ্বরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

04:02:25 PM

মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার সাহায্য করা হবে: মুখ্যমন্ত্রী

04:01:47 PM