ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
রিচার্ডস বলেছেন, দিনে ভারতীয় মুদ্রায় গড়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা রোজগার তাঁর কাছে কোনও ব্যাপারই নয়। তবে সারাবছর যে তাঁকে এই কাজ করতে হয়, তেমনও নয়। মাত্র দু’মাস কাজ করেই তাঁর যা আয় হয়, বছরের বাকিটা সময় পায়ের উপর পা তুলে কাটিয়ে দিতে পারেন নিশ্চিন্তে।
অভিনয় তাঁর নেশা। তবে তাঁর রোজগারের বেশিরভাগই আসে ন্যানির কাজ করে। রিচার্ডসের কথায়, আমার সারা বছরের আয়ের ৯০ শতাংশই আসে ন্যানির কাজ করে।
তবে যে কাজ করে দিনে লক্ষ টাকা রোজগার হয়, তা পাওয়া কি ‘হাতের মোয়া’? তা কিন্তু মোটেই নয়। রিচার্ডস জানিয়েছেন, এই কাজ পেতে রীতিমতো ইন্টারভিউ দিতে হয় তাঁকে। সেখানে নিয়োগকারীরা পরখ করে নেন যে, সত্যি তাঁর সন্তানকে গড়ে তোলার জন্য তিনি আদৌও যোগ্য কি না। কারণ, কাজটা তো শুধু বাচ্চার দেখাশোনা নয়। সেইসঙ্গে বাচ্চার পড়াশোনা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বোধ গড়ে তোলার দায়িত্বও বর্তায় তাঁর উপর। তাছাড়া একঘেয়েমি কাটাতে বাচ্চাদের নিয়ে কখনও ঘুরতেও যেতে হয় তাঁকে। এ কাজ মোটেই সহজ নয়। তাছাড়া একজন কৃষ্ণাঙ্গ ‘আয়া’র পক্ষে একটি শ্বেতাঙ্গ বাচ্চাকে দেখভাল করা কিন্তু রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। কারণ, এক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক দিক থেকে অনেক পার্থক্য থাকে। ফলে খুবই সতর্কভাবে শিশুদের পরিচর্যা করতে হয়। একটু উল্টোপাল্টা হলেই চাকরি হারানোর শঙ্কা থাকে।
তবে একবার বিশ্বাস অর্জন করতে পারলে সোনায় সোহাগা। কখনও ব্যক্তিগত বিমান, কখনওবা জাহাজে কিংবা দামী গাড়িতে চড়ে বিশ্বের নানাপ্রান্তে ঘোরার সুযোগ তো রয়েইছে, কখনও আবার বোর্ডিং স্কুলে বাচ্চার নামের পদবীর জায়গায় ন্যানির নাম রেখে দেন অভিভাবকরা।