কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
এক মুখ দাড়ি নিয়ে জেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি প্রক্রিয়ায় হাজির হয়েছিলেন নীরব। তাঁর পরনে ছিল গাঢ় কালো রঙের স্যুট। শুনানির বেশিরভার সময় তাঁকে চোখ বুজে থাকতে দেখা গিয়েছে। যেন মনে হচ্ছিল নীরব ধ্যানে মগ্ন। কীভাবে পিএনবির সঙ্গে নীরব প্রতারণা করেছে, তা এদিন ভারতের আইনজীবী তথা ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস)-এর প্রতিনিধি হেলেন ম্যালকম বিচারকের কাছে তুলে ধরেন। তার তীব্র বিরোধিতা করেন ক্লেয়ার। ব্যাখ্যা দেন, কেন এই অভিযোগ তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে খাটে না। এদিন আদালতে আরও বলা হয়, চিটফান্ডের মতো একটি প্রকল্পকে আড়াল করার জেরেই এই পিএনবি ব্যাঙ্ক দুর্নীতি। এ বিষয়ে গত বছর বিভিন্ন সময়ে আদালতে তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়েছে। সেই তথ্যপ্রমাণগুলিই এদিন খতিয়ে দেখেন জেলা বিচারক স্যামুয়েল গুজ। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানির পর ২৫ তারিখ নীরব প্রত্যর্পণ মামলার রায় দেবে আদালত।
বৃহস্পতিবার নীরব মোদির আইনজীবীরা অভিযোগ করেছিলেন, মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে যথাযথ পরিকাঠামো নেই। ওখানে আমার মক্কেলকে রাখা হলে ওঁর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হবে। আত্মঘাতী হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। একথা উল্লেখ করে নীরবকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিরোধিতা করেন তাঁরা। পাশাপাশি ক্লেয়ার জানান, ভারতে প্রত্যর্পণ করা হলে নীরবের নিরপেক্ষ বিচার হবে না।
অন্যদিকে ম্যালকম বলেছেন, আর্থার রোড জেল নিয়ে ফের ভারত সরকারের থেকে আশ্বাস চাইতে পারে আদালত। প্রসঙ্গত, দেশে প্রত্যর্পণের পর নীরবকে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের ১২ নম্বর বারাকে রাখা হবে আদালতকে জানিয়েছে নয়াদিল্লি।