উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
ছেদ পড়তে চলেছে ট্রাম্প-মেলানিয়ার ১৫ বছরের দাম্পত্যে। লন্ডনের এক ট্যাবলয়েডের ‘ব্রেকিং নিউজ’ ঘিরে এখন শোরগোল। হোয়াইট হাউসের জনসংযোগ বিভাগের প্রাক্তন অধিকর্তা ওমারোসা ম্যানিগল্ট নিউম্যানের দাবি, সময়ের অপেক্ষা। খুব শীঘ্রই ডোনাল্ডের সঙ্গে বিয়ে ভাঙতে চলেছেন মেলানিয়া। হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন কর্তার কথায়, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প কখন অফিস ছাড়বেন, তার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন মেলানিয়া। তারপরেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন বিদায়ী ফার্স্ট লেডি।’
ট্যাবলয়েডের মুখোমুখি হয়ে নিউম্যান বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে মেলানিয়া যদি বিবাহ বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত নেন, তবে হোয়াইট হাউসের মধ্যে ট্রাম্পকে চূড়ান্ত অপদস্ত হতে হবে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগও থাকবে।’ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মেলানিয়ার এক বন্ধুর দাবি, ২০১৬ সালের নির্বাচনে জিতে আমেরিকার কুর্সি দখল করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবিশ্বাস্য লেগেছিল মেলানিয়ার কাছে। হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ট্রাম্প ভোটে জিতবেন, ভাবেননি কখনও। এরপরে নিউ ইয়র্ক ছেড়ে ওয়াশিংটন যেতে মেলানিয়ার সময় লেগেছিল পাঁচ মাস। অজুহাত হিসেবে ছেলে ব্যারনের স্কুল শেষ না হওয়ার বিষয়টিকে সামনে এনেছিলেন। যদিও ভিতরের গল্প ছিল অন্য। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আচমকাই পদত্যাগ করেছিলেন নিউম্যান।
ট্রাম্প দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে অবশ্য অন্য কথা বলেছেন মেলানিয়ার প্রাক্তন উপদেষ্টা স্টেফানি ওকঅফ। ছেলে ব্যারন যাতে বাবার সম্পত্তির সমান ভাগ পায়, তার জন্য স্বামীর সঙ্গে বিবাহ পরবর্তী একটি চুক্তি করেছিলেন মেলানিয়া। বিচ্ছেদের জল্পনায় সিলমোহর দিয়ে স্টিফেন আরও বলেছেন, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প দম্পতির জন্য বরাদ্দ থাকত পৃথক বেডরুম। সম্পত্তি পাইয়ে দেওয়ার চুক্তিতেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। টানাপোড়েনের মেঘ ক্রমশ গাঢ় হলেও জল্পনায় আমল দিচ্ছেন না একজন। স্বয়ং মেলানিয়া ট্রাম্প। যাবতীয় জল্পনা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বিদায়ী ফার্স্ট লেডির কথায়, ‘স্বামীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। আমাদের মধ্যে কখনও ঝগড়া বা মনোমালিন্য হয়ই না।’
মেলানিয়া এখনও স্ত্রী। তিনি তো এমন বলবেনই। দাবি ঘনিষ্ঠ মহলের। তবু কফির ধোঁয়ার সঙ্গেই ভেসে বেড়াচ্ছে নানান গসিপ। শোনা যাচ্ছে, দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের বিবাহ পূর্ববর্তী চুক্তি রয়েছে। সেই অনুযায়ী ট্রাম্প সম্পর্কে সমালোচনামূলক কোনওরকম সাক্ষাৎকার দেন না তিনি। নিন্দা করে লিখতে পারেন না কোনও বইও। বিচ্ছেদের পর একই পথ অনুসরণ করতে পারেন মেলানিয়াও। ট্রাম্পেরও ইচ্ছে এমনই।