উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে বলা হয় ফার্স্ট লেডি। একইভাবে ‘সেকেন্ড লেডি’ বলে চিহ্নিত করা হয় ভাইস প্রেসিডেন্টের সহধর্মিনীকে। কিন্তু, এতদিন পর্যন্ত কোনও মহিলা প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়ায়, তাঁদের স্বামীকে কী বলা হবে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার পড়েনি। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর স্বামী তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে কী বলা হবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হিলারি হেরে যাওয়ায় সেই চর্চা বিশেষ এগয়নি। কিন্তু এবার বন্ধ হয়ে যাওয়া সেই চর্চা ফের জোরকদমে শুরু হয়েছে।
এক বন্ধুর পাল্লায় পড়ে ‘ব্লাইন্ড ডেটে’ গিয়েছিলেন হ্যারিস-এমহফ। সেখান থেকেই প্রেমের শুরু। তারপর ২০১৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য সেটি প্রথম বিয়ে হলেও দ্বিতীয়বারের জন্য গাঁটছড়া বাঁধেন ডগলাস। ডগলাসের বাবা-মা শ্বেতাঙ্গ। অন্যদিকে, কমলা ভারতীয় ও জামাইকান অভিবাসীর কন্যা। তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বিপুল সাহায্য করেছিলেন জীবনসঙ্গী। কমলার পক্ষে ভোট টানতে তাঁকে এবং তাঁর জনপ্রিয়তাকে ‘গোপন অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
ডগলাস পেশায় আইনজীবী। মূলত মিডিয়া, খেলা এবং বিনোদন সংক্রান্ত আইনের বিশেষজ্ঞ তিনি। স্ত্রীয়ের হয়ে প্রচারের জন্য আগস্ট থেকেই অফিস ছুটি নিয়ে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেরিয়েছেন ডগলাস। তথ্য বলছে, একটি বিষয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর মিল রয়েছে। তা হল, দু’জনেই গল্ফ ফেলতে খুব ভালোবাসেন।
এদিকে, মার্কিন ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়া কমলাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট করে তিনি বলেন, আপনার সাফল্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আপনার সমর্থন এবং নেতৃত্ব ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে আমার বিশ্বাস।
অন্যদিকে, প্রচারে বারবার ভারতীয় মায়ের কথা বলেছিলেন নব নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট। ইতিহাস তৈরির পর ফের মা শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের কথা উল্লেখ করেছেন কমলা। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি বলেন, মায়ের জন্যই আজ আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি ভারত থেকে এখানে এসেছিলেন। কিন্তু, এই মুহূর্তের কথা তিনি হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি। তবে আমার মায়ের মতো কৃষ্ণাঙ্গ, শ্বেতাঙ্গ, এশীয়, লাতিন এবং জন্মসূত্রে মার্কিন সহ বিভিন্ন স্তরের মহিলাদের জন্য আজ এই ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ তৈরি হয়েছে।