উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
সূত্রের খবর, সীমান্তে বিভিন্ন সময়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার বিষয়টির উপর বিশেষ জোর দিয়েছে বিজিবি। তাদের কথায়, গত দু’বছরে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। এবছরও বিএসএফের গুলিতে ৪৪ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। বিজিবির (অপারেশন) অধিকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সর্বদা সীমান্ত-সুরক্ষা এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। তবে বিএসএফের গুলিতে পর পর মৃত্যুর ঘটনা পরিস্থিতি বদলে দিচ্ছে।
যদিও এর জবাবে বিএসএফের কর্তারা পাল্টা সুর চড়ান। তাঁরা বলেন, দু’পারে সীমান্তরক্ষীদের আরও বেশি কড়া নজরদারির প্রয়োজন। কারণ, সীমান্তে পাচার বাড়ছে। অনুপ্রবেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে সোনা-রুপো-জালনোট চোরাপথে ভারতে ঢুকছে। আবার উল্টোদিকে ভারত থেকে ফেনসিডিল, প্রসাধনী সামগ্রী অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই তালিকায় ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশের ইলিশও। তাই ওপারে সীমান্তরক্ষায় কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেই মনে করেছেন বিএসএফের কর্তারা। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এস এস গুলারিয়া বলেন, আমাদের দিক থেকে সীমান্ত সুরক্ষায় আধুনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত সীমান্তে সব জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। সেখানে বেশি সতর্ক থাকে বিএসএফ।
তিনদিনের বৈঠকের শুরুতে সীমান্তের অপরপ্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা-সেনেগ্রা ট্যাবলেট সহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার কীভাবে রুখে দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি, অনুপ্রবেশ, মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ-ইন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণকাজ, সীমান্ত সংলগ্ন নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ, বাংলাবান্ধা আইসিপিতে দর্শক গ্যালারি নির্মাণ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বাস্তবায়নে যৌথ টহল পরিচালনার বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। বিএসএফের এক কর্তা বলেন, রিজিয়ন-ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের অফিসারদের নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন, পাবর্ত্য অঞ্চলে হিল ফ্লাইং প্রশিক্ষণ ও অপারেশন পরিচালনা, উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে। আগামী শনিবার যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে।