কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
রৌহানির সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানির সঙ্গে দেখা করে আমি আপ্লুত। ভারত-ইরান চুক্তি সহ একাধিক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আমাদের বিশদে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠক প্রসঙ্গে একটি সরকারি প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রগুলি নিয়ে কথা হয়েছে দু’পক্ষের। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ইরানের প্রেসিডেন্টকে আশ্বাস দিয়েছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি, স্থিতাবস্থা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক আলোচনা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পক্ষে ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এই বিষয়টি ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান মোদি।
তবে, ইতিমধ্যেই রৌহানির সঙ্গে মোদির এই বৈঠক নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, পরমাণু চুক্তি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের দ্বৈরথ চলছে। এর মধ্যে সৌদি আরবের দু’টি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও ইরানের উপরই চাপিয়েছে আমেরিকা। যা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিত্র দেশগুলির কাছে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অবিলম্বে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে হবে। এই মর্মে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞাও চাপিয়েছেন তিনি। এদিকে, তেলের চাহিদার নিরিখে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ ভারতের ৮০ শতাংশ তেলের চাহিদাই মেটে আমদানির মাধ্যমে। ইরাক এবং সৌদির পর এখনও পর্যন্ত ইরান থেকেই সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে আসছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ভারত সহ মোট সাতটি বন্ধুদেশকে ছ’মাসের অব্যহতি দিয়েছিল আমেরিকা। ওই সময়ের মধ্যে বিকল্প খোঁজার কথা বলা হয়েছিল নয়াদিল্লিকে। সেই সময়সীমা গত ২ মে শেষ হয়েছে এবং তা বৃদ্ধির কোনও ঘোষণা এখনও ওয়াশিংটনের তরফে করা হয়নি।