নয়াদিল্লি: কৃষকদের আন্দোলন করার অধিকার আছে, কিন্তু অনন্তকাল রাস্তা অবরোধ করে রাখা যায় না। দিল্লি সীমানার আন্দোলন নিয়ে কৃষক সংগঠনকে কড়া ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের উত্তর জানতে চেয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস কে কউল ও সি টি রবিকুমারের বেঞ্চ বলে, যে কোনও পদ্ধতিতে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন কিন্তু এই ভাবে রাস্তা আটকে রাখা যায় না। মানুষের রাস্তায় চলাচলের অধিকার রয়েছে, সেই রাস্তা আটকে অন্যের সমস্যা সৃষ্টি করা যায় না। তিনটি কৃষি আইন নিয়ে আগেই আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে কৃষক সংগঠন। সে কথা উল্লেখ করে আদালত বলে, কোনও একটা সমাধানে পৌঁছতে হবে। কৃষক সংগঠনের কাছে আদালতের প্রশ্ন, এভাবে রাস্তা বন্ধ করে রাখা যায়? উত্তরে সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানায়, রাস্তা সামলানোর দায়িত্ব পুলিসের। ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিস, কৃষক সংগঠনগুলি নয়। রাস্তা সামলানোর দায়িত্ব যদি তাঁরা পালন করতে না পারে, তাহলে আমাদের রামলীলা ময়দান অথবা যন্তরমন্তরে আন্দোলন করার অনুমতি দেওয়া হোক।
দিল্লি সীমানায় রাস্তা অবরোধ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন নয়ডার বাসিন্দা মনিকা আগরওয়াল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই আদালতের এই পর্যবেক্ষণ। শুনানি চলাকালীন সলিসিটার জেনারেল ২৬ জানুয়ারির হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন। কৃষক সংগঠনের লিখিত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সেদিন হিংসা ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও সেই ঘটনার দায় কেন্দ্র সরকারের উপর চাপিয়েছে কৃষকরা। চলতি মাসে সর্বোচ্চ আদালতের অন্য একটি বেঞ্চ কৃষকদের ভর্ৎসনা করে বলে, ‘আপনারা গোটা শহরের শ্বাসরোধ করছেন।’ ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি কাউলের অন্য একটি বেঞ্চ কৃষকদের জানায়, আদালতে বা সংসদে বিষয়টি সমাধান হতে পারে, তারজন্য রাস্তা বন্ধ রাখার প্রযোজন কী? মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ ডিসেম্বর।