কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
সর্বোচ্চ আদালতের একের পর এক তোপের মুখে পড়ে সরকারের আইনজীবি হরিশ সালভে ঘোর অস্বস্তিতে পড়েন। চাপে পড়ে তিনি অনুরোধ করেন, শুনানি যদি শুক্রবার হয়, তাহলে ভালো হয়। যদিও আদালত তা অনুমোদন করেনি। সুপ্রিম কোর্ট বলে, না আজই যা বলার বলতে হবে। জানাতে হবে, এ পর্যন্ত কী করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। বিষয়টি অনন্তকাল চলতে পারে না। ওখানে ৮ জন মারা গিয়েছেন। তাই বিষয়টিকে মোটেই লঘু করে দেখা উচিত নয়, ঝুলিয়ে রাখাও অনুচিত। অথচ ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র চারজনের বক্তব্য এ পর্যন্ত রেকর্ড করেছেন। সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিয়ে কী করেছেন, তাও জানাননি কেন? প্রশ্ন করেন দেশের প্রধান বিচারপতি। জবাবে সালভের বক্তব্য, দশেরার জন্য নিম্ন আদালত বন্ধ ছিল। এ কথা শুনেই পাল্টা চেপে ধরেন বেঞ্চের অন্যতম সদস্য হিমা কোহলি। তাঁর প্রশ্ন, ক্রিমিনাল কোর্টে আবার ছুটি থাকে নাকি?
গত ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার তিকোনিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রর পুত্র আশিস গাড়ি চালিয়ে নিরীহ কৃষকদের পিষে মেরেছে বলে অভিযোগ। সঙ্গে চলেছে গুলিও। বিষয়টিকে ‘নির্মম হত্যা’ বলেই আগেই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সমালোচনার পর আশিস মিশ্রকে রাতারাতি গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। কিন্তু তদন্ত ঠিকমতো এগচ্ছে না বলেই অভিযোগ। বিষয়টি উত্তরপ্রদেশ পুলিস কৌশলে দীর্ঘায়িত করছে বলেও অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টও এ ব্যাপারে এদিন যোগী সরকারকে চেপে ধরেছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী হরিশ সালভে আদালতকে জানিয়েছেন, ওখানে আরও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। ১০ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাছাড়া সেদিন দুটি অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। একটি হল, কৃষকদের গাড়ি চাপা দেওয়া। অন্যটি, কয়েকজনকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারা। সালভের সওয়াল শেষ হওয়ার আগেই সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে আরও সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২৬ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি হবে।