কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
এদিন আরিয়ানের জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অমিত দেশাই। তিনি আদালতকে জানান, নিষিদ্ধ মাদক পাচারচক্রের সঙ্গে তাঁর মক্কেলের জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ, ঘটনার দিন আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক অথবা তা ক্রয়ের জন্য যে টাকাপয়সা দরকার, সে সব উদ্ধার হয়নি। তার বিরোধিতা করে এনসিবির তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) অনিল সিং জানান, মাদক পাওয়া না গেলেও আরিয়ানের অপরাধ কম নয়। কারণ, গত কয়েক বছর ধরেই তিনি মাদক নিচ্ছেন। সেই সূত্রে এমন কিছু ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ তৈরি হয়েছে, যারা আন্তর্জাতিক মাদক পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত। এর প্রেক্ষিতে আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের তথ্য আদালতে তুলে ধরে এনসিবি। তাদের দাবি, সেখানে বিপুল পরিমাণে মাদক ক্রয় ও সরবরাহ করার ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত মিলেছে।
যদিও আরিয়ানের আইনজীবী সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন। বলেন, ওই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একাধিক মানে হতে পারে। সেই সূত্রে যে কারও ভুল ধারণাও তৈরি হতে পারে। এনসিবি যে আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক পাচার সংক্রান্ত ‘২৭ এ’ ধারা প্রয়োগ করেনি, সেদিকেও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী দেশাই। উল্টোদিকে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়, আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার না হলেও তাঁর বন্ধু আরবাজের হেফাজতে ৬ গ্রাম এবং মুনমুনের কাছ থেকে ৫ গ্রাম চরস উদ্ধার হয়েছে। ফলে ধরে নেওয়া যেতে পারে, ওই মাদক সেবনের পরিকল্পনা আরিয়ানেরও ছিল। সবশেষে এএসজি আরও যোগ করেন, ‘মহাত্মা গান্ধী এবং গৌতম বুদ্ধের দেশের জন্য এমন স্বপ্ন দেখেননি স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। এই মাদকের জাল থেকে সমাজকে মুক্ত করতেই হবে।’ তারপরেই জামিনের আর্জি নাকচ করে দেন বিচারক। শাহরুখ-পুত্রের জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পর এদিন এনসিবি-কে ফের তোপ দাগেন এনসিপি মুখপাত্র নবাব মালিক। তাঁর বক্তব্য, এনসিবি-র দায়ের করা মামলাগুলির অধিকাংশই ‘ভুয়ো’।গত ২ অক্টোবর মধ্যরাতে মুম্বই উপকূলের কাছে একটি প্রমোদতরীতে হানা দিয়ে আরিয়ান সহ মোট তিনজনকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। তাঁদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদক সেবন, মজুত, বেচাকেনা এবং পাচার করার অভিযোগ দায়ের হয়। আরিয়ানের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের ৮ সি, ২০ বি, ২৭, ২৮, ২৯ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বর্তমানে আরিয়ান এবং আরবাজকে রাখা হয়েছে আর্থার রোড জেলে। আর মুনমুনের ঠিকানা বাইকুল্লার মহিলা সংশোধনাগার। -ফাইল চিত্র