কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
প্রকল্পগুলিকে সংশ্লিষ্ট জোনের হাতে তুলে দিতে বলার পাশাপাশি সোমবার রাতে রেল বোর্ডের জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ১) প্রকল্প সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্রও সংশ্লিষ্ট জোনগুলির হাতে তুলে দিতে হবে আইআরএসডিসিকে, যাতে উল্লিখিত প্রকল্পগুলিকে নিয়ে পরবর্তী ক্ষেত্রে অন্যরকম চিন্তাভাবনা করা যায় এবং ২) খতিয়ে দেখতে হবে আইআরএসডিসির হাতে থাকা আগামী প্রকল্পগুলির চুক্তিপত্রও। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এবার কি রেল স্টেশনের মানোন্নয়নের দায়িত্ব পুরোপুরি বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে রেলমন্ত্রক?
কার্যত রেলের ধার ও ভার কমানোর লক্ষ্যে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল বেশ কিছু সুপারিশ করেছিলেন বোর্ডকে। সেখানেই স্পষ্ট বলা হয়েছিল, প্রায় একইরকম কাজ করে, এমন সংস্থাগুলিকে একসঙ্গে জুড়ে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আইআরএসডিসির নাম। শীর্ষ আধিকারিকদের একাংশের মতে, আইআরএসডিসির ঝাঁপ বন্ধের সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে সেই সুপারিশই।
মুম্বই সিএসএমটি, চণ্ডীগড় স্টেশন, কেএসআর বেঙ্গালুরুর মতো দেশব্যাপী প্রায় একশো স্টেশনের মানোন্নয়নের দায়িত্ব ছিল ওই সংস্থার হাতে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, আসানসোল স্টেশনের কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে। প্রস্তাব ছিল কলকাতা স্টেশনের জন্যও। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১২ মার্চ রেলমন্ত্রকের আওতায় তৈরি হয়েছিল ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। ইরকন এবং রেল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (আরএলডিএ) সঙ্গে
যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল ওই সংস্থা। ন’বছরের মাথায় পুরনো সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।