কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
সেন্টারগুলির জমি বিক্রি করে দেওয়ার মতো নির্দেশিকাও এসেছে। তাই কাজ হারানোর আশঙ্কায় ঘুম ছুটেছে অস্থায়ী কর্মীদের। প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন জনপ্রতিনিধি থেকে রাজনৈতিক দলগুলি। আসানসোলের সেন্টারে ১৯ জন স্থায়ী ও পাঁচজন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। সোমবার সেখানেও ছিল বিষাদের সুর। সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ধনঞ্জয় নিয়োগী বলেন, সেন্টার বন্ধ হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। বদলির আশঙ্কা তাঁর মুখেও স্পষ্ট।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জমানায় অ্যানালগ ব্যবস্থাকে ডিজিটালে উন্নীত করতে বেছে নেওয়া হয়েছিল ৬৩০টি সেন্টারকে। তার জন্য ধার্য করা হয়েছিল প্রায় ৩,৬০০ কোটি টাকা। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৬৩০টির পরিবর্তে ২২৮টি সেন্টারকে ডিজিটাল ট্রান্সমিশনের উপযোগী করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও মাত্র ১৯টি সেন্টারে এই ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার পরেই থমকে যায় গোটা প্রক্রিয়া। পুরনো ট্রান্সমিটার দিয়ে ডিডি ন্যাশনাল, ডিডি নিউজ ও ডিডি বাংলা চ্যানেলের সিগন্যাল পরিবেশিত হয়।
অ্যাসোসিয়েশন অব আকাশবাণী ও দূরদর্শন ইঞ্জিনিয়ারিং এমপ্লয়িজের সর্বভারতীয় সভাপতি পুলক রায়ের দাবি, ‘এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে আমাদের সিগন্যালিং সিস্টেম যথেষ্ট শক্তিশালী হতো। ফলে ভিনদেশের চ্যানেলের সিগন্যাল এখানে সহজে প্রবেশ করতে পারত না। সীমান্ত এলাকায় দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সেটি বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়াও ডিজিটাল সিস্টেমে বিভিন্ন চ্যানেল দেখিয়ে সরকার বাড়তি রেভিনিউ সংগ্রহ করতে পারত। কিন্তু তা না করে রিলে সেন্টারগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। আমরা সরকারের কাছে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছি।’এ প্রসঙ্গে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটকের অভিযোগ, সবরকম সরকারি পরিষেবা ও পরিকাঠামো বিক্রি করে দিতে সচেষ্ট মোদি সরকার। এই সেন্টারগুলিও নিজেদের পছন্দের কোনও শিল্পগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়তো বিজেপি নেতৃত্বের রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।