কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
ফায়ারস্টার ডায়মন্ড, ফ্যান্টাসি আইএনসি এবং আ জাফে নামে তিনটি মার্কিন সংস্থার পরোক্ষ মালিক ছিলেন নীরব। অভিযোগ, তিনি ও তাঁর দুই সঙ্গী মিহির বনশালী ও অজয় গান্ধী এই তিন কোম্পানির নামে ঋণ নিয়েও তা শোধ করেননি। এই অভিযোগে ওই তিন সংস্থার হয়ে আদালতে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি জানান রিচার্ড লেভিন। কিন্তু, এই মামলা যাতে খারিজ করা হয় সেজন্য আবেদন করেছিলেন নীরব। শুক্রবার নিউ ইয়র্কের ঋণখেলাপি আদালতের বিচারক সিন এইচ লেন ফেরার আর্থিক অপরাধীর আর্জি খারিজ করে দেন। ফলে মার্কিন আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন নীরব। গত এপ্রিলেই প্রত্যর্পণ মামলায় নীরবকে ভারতে ফেরানোর অনুমতিপত্রে সই করেছেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল। তার বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন করেছেন অভিযুক্ত। আদালতে নীরবের যুক্তি ছিল, করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে তাঁর মানসিক অবস্থা খারাপ। তাছাড়া ভারতের সংশোধনাগারগুলির অবস্থাও ভালো নেই। সেখানে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ফেরার আর্থিক অপরাধী। কিন্তু, বিচারক নীরবের যুক্তি মানেননি। এরপর ভারতের তরফে জানানো হয়েছিল, দেশে ফেরানোর পর তাঁকে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে রাখা হবে। সেই জেলের ভিতরের ছবিও ব্রিটেনের আদালতে পাঠানো হয়। সব দেখে শুনে বিচারক জানিয়ে দেন, ভারতে নীরবের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। একের পর এক দেশে ধাক্কা খাওয়ার পর নীরবের ভারতে প্রত্যর্পণ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।