নয়াদিল্লি: প্রতিবাদী কৃষকদের সাহায্য করতে পাঞ্জাব থেকে দিল্লি এসেছিলেন জনক রাজ নামে বছর পঞ্চান্নের এক ব্যক্তি। শনিবার রাতে গাড়িতে ঘুমের মধ্যেই দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তাঁর। দিল্লি-হরিয়ানা জাতীয় সড়কের উপর ঘটে যাওয়া এই কাণ্ডে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, জনক রাজ ট্রাক্টর মেরামতির কাজ করেন। দিল্লিতে কৃষকরা যে ট্রাক্টর নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন, সেই ট্রাক্টর সারাইয়ের জন্যই জনক পাঞ্জাব থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন। শনিবার কাজের শেষে তিনি বাহাদুরগড়ে হাইওয়ের উপর একটি গাড়ির ভিতর ঘুমিয়ে পড়েন। তারপর রাতে গাড়িতে আগুন লেগে গেলে জীবন্ত অবস্থায় তিনি পুড়ে মারা যান। পাঞ্জাবের বারনালার বাসিন্দা জনকের মৃত্যুতে শিরোমণি অকালি দল শোক প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, কৃষক আন্দোলনের ইতিহাসে জনকের নাম অমর হয়ে থাকবে। এছাড়া কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের তরফে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
অনেকেই অভিযোগ তুলেছে, আন্দোলনকে দুর্বল করতেই এহেন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। জনককে খুন করা হয়েছে। কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের বিরোধিতা করে রাজধানীতে কৃষক আন্দোলন চলছে। দেশের ছয় রাজ্য —উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, কেরল এবং পাঞ্জাবের কৃষকরা সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। টানা চারদিন ধরে রাজধানীর বুকে কৃষকরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আর সেই প্রচারে কৃষক সমাজের প্রতীক হিসেবে কাজ করছে ট্রাক্টর। তাই ট্রাক্টর সারাইয়ের কাজে আসা জনককে খুন করে আন্দোলনকেই দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।