শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
২০০০ সালে ওড়িশার কুর্সিতে বসেন নবীন পট্টনায়েক। নিরবচ্ছিন্ন একুশ বছরের শাসনকালে কমপক্ষে ছ’টি ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে তাঁর সরকার। ২০১৩ সালে ফাইলিন (মৃত ৪৪), ২০১৪ সালে হুদহুদ (মৃত ৩), ২০১৮ সালে তিতলি (মৃত ৫৯, নিখোঁজ ১২), ২০১৯ সালে ফণী ও বুলবুলের জোড়া ধাক্কায় বিধ্বস্ত হয়েছে ওড়িশা। ফণীতে বলি হয়েছিলেন ৬৪ জন। বুলবুলের শিকার হয়েছিলেন মাত্র দু’জন। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি ছোটখাটো ঝড়-ঝাপটা সামলাতে হয়েছে পট্টনায়েককে। তবে ১৯৯৯ সালে সুপার সাইক্লোনের ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা থেকে ঝড় মোকাবিলার পাঠ নিয়েছিলেন তিনি। তখন তিনি ওড়িশার দাপুটে বিরোধী নেতা। পরের বছর ক্ষমতায় বসেই পট্টনায়েকের মূল লক্ষ্য ছিল ঝড়ের তাণ্ডবে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা শূন্যতে নামিয়ে আনা। এর জন্য তিনি প্রথম নজর দেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে ঢেলে সাজার কাজে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওড়িশা হাওয়া অফিসকেও আমুল বদলে দেন তিনি। বস্তুত, নবীন পট্টনায়েকের এই উদ্যোগই পরবর্তী সময়ে ফণী, বুলবুলের রোষকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। এবার উম-পুনের ধাক্কায় প্রাণহানির সংখ্যা শূন্যতে নামিয়ে এনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছেন তিনি। তবে ভদ্রক জেলায় একটি শিশু এবং কেন্দ্রাপাড়া জেলায় এক বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দুই জেলারই প্রশাসন অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দু’টি মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে উম-পুনের কোনও সম্পর্ক নেই।
গতকাল আকাশ পথে ঝড়-বিধ্বস্ত জগৎসিংপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, জাজপুর এবং ময়ূরভঞ্জ ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল গণেশি লাল এবং মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। পরে বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই রাজ্যকে চটজলদি ৫০০ কোটি টাকা সাহায্য দেবেন বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ত্রাণ ও পুনর্গঠনে রাজ্যের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।