শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে বাড়ি অজিতের। প্রায় চার দশক আগে মাত্র ৮ বছর বয়সে দিল্লি এসেছিলেন তিনি। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছেন দিল্লিতে। অজিতের বয়স এখন আটচল্লিশ। পেশা ব্যবসা। দিল্লির কাশ্মীরি গেট এলাকায় তাঁর একটি ছোট্ট ‘ফুড স্টল’ রয়েছে। থাকতেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে। লকডাউনে মেট্রো স্তব্ধ। অন্যকে খাইয়ে নিজের খাবার জোগাড়ের রাস্তাও তাই বন্ধ অজিতের। ঠিক করেন বাড়ি ফিরে আসবেন। সেই মতো দিল্লি সরকারের খাতায় নাম নথিভুক্ত করান তিনি। যমুনা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই হয় তাঁর।
সেখানে কয়েকদিন থাকার পর শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি তাঁর নজরে আসে। তখনই অজিত সিদ্ধান্ত নেন, শ্রমিকদের এই জীবন-যুদ্ধে তিনিও শামিল হবেন। এখনই বাড়ি ফিরবেন না। স্ত্রীকে ফোনে সান্ত্বনা দিয়ে শিবিরেই স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। অজিত বলছিলেন, ‘ওঁদের অবস্থা দেখে আর মন চাইল না বাড়ি ফিরতে।’
টানা প্রায় ৪০ দিন শিবিরে রয়েছেন অজিত। শ্রমিকদের খাবার পরিবেশন থেকে শুরু করে শিবিরের যাবতীয় খুঁটিনাটি কাজ সামলাচ্ছেন তিনি। সরকারি নির্দেশিকা মেনে আশ্রিত শ্রমিকদের দূরত্ববিধি মেনে চলার সবকও শেখাচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। অজিতের প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ প্রশাসনের কর্তারাও। দিল্লির শাহদরা জেলার এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তথা শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার আশিস মিশ্রর কথায়, ‘অজিত অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তিনি শিবিরে কাজ করছেন। ওখানকার যাবতীয় সমস্যা অজিতের মাধ্যমেই আমরা জানতে পারি। শিবিরে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন অজিত। এমনকী শৌচালয় পরিষ্কার করতেও তাঁর এতটুকু সংকোচবোধ নেই।’