নয়াদিল্লি, ২০ জানুয়ারি (পিটিআই): সোনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট ওয়াধেরার বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী সি সি থাম্পিকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক সূত্রে এ খবর জানানো হয়েছে। দুবাইয়ের সংস্থা ‘স্কাই লাইট’-এর মালিক হলেন থাম্পি।
২০০৯ সালে এক বেসরকারি সংস্থার থেকে লন্ডনের একটি সম্পত্তি কেনেন ফেরার অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির সংস্থা ‘স্যানটেক এফজেডই’। আগে যে সম্পত্তি স্কাই লাইটের অধীনে ছিল। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, লন্ডনের এই সম্পত্তি তিনি বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করেন। এবং তা নিয়ে ভান্ডারি ও রবার্টের মধ্যে বেশ কিছু ইমেল চালাচালিও হয়েছে। ইডি দাবি করেছে, কংগ্রেস সভানেত্রী তথা রবার্টের শাশুড়ি সোনিয়া গান্ধীর এক সঙ্গীর মাধ্যমে ওয়াধেরার সঙ্গে দেখা করেন থাম্পি। যদিও রবার্টের দাবি, কয়েক বছর আগে এমিরেটসের এক বিমানেই থাম্পির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। এর আগে ইডির জেরায় থাম্পি বলেছিলেন, লন্ডনের ব্রায়নস্টন স্কোয়ারের সম্পত্তিতে বসবাস করতেন রবার্ট। যদিও, তদন্তকারী সংস্থার কাছে থাম্পির সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন রবার্ট। গত শুক্রবার অর্থ তছরুপ বিরোধী আইনে থাম্পিকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এর আগে সংশ্লিষ্ট মামলায় তাঁকে সমন জারি করেছিল তারা।
অন্যদিকে, কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে রবিবার রাতে ভারত হোটেল গোষ্ঠীর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর বিভাগ। সেইসঙ্গে এক অটোমোবাইল ডিলারের এক সংস্থাতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। আয়কর আধিকারিক সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। রাজধানী দিল্লি ও তার আশপাশে চালানো হয় এই অভিযান। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভারত হোটেল গোষ্ঠীর সিএমডি জোৎস্না সুরির আটটি সম্পত্তি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ কার্গো মোটরসের প্রোমোটার জয়ন্ত নন্দার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, টাটা মোটরসের দেশের বৃহত্তম ডিলারদের মধ্যে অন্যতম হলেন জয়ন্ত নন্দা।