কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
যদিও দুই দল থেকেই বলা হচ্ছে, প্রার্থী তৈরি। কেজরিওয়ালকে মানসিক চাপে রাখতেই নাম ঘোষণা হচ্ছে না। দলীয় সূত্রে খবর, কংগ্রেসের মধ্যে একটি অংশ চাইছে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠাকে প্রার্থী করা হোক। তাঁকে এখন দিল্লিতে মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী হিসেবে সক্রিয় ভৃমিকায় দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দেখাও করেছেন। তার ফলে এই জল্পনা বেড়েছে।
অন্যদিকে বিজেপির একাংশ চায়, দলের প্রদেশ সভাপতি তথা উত্তর-পূর্ব দিল্লির বর্তমান এমপি মনোজ তিওয়ারিকেই দাঁড় করানো হোক। যদিও এ ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, অরবিন্দ কেজরিওয়াল লড়ছেন নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে। ২০১৩ সালে প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েই পর পর তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিতকে নয়াদিল্লি থেকে হারিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। একইভাবে ২০১৫ সালে কংগ্রেসের কিরণ ওয়ালিয়াকে পরাস্ত করেন তিনি। বিজেপি থেকে সেসময় প্রার্থী ছিলেন দিল্লি ইউনিটের মুখপাত্র নুপুর শর্মা।
২০১৫ সালে দিল্লি বিধানসভার মোট ৭০টি আসনের মধ্যে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি পেয়েছিল ৬৭টি। বিজেপি তিন। কংগ্রেস শূন্য। দিল্লির আনঅথরাইজড কলোনিকে রেজিস্ট্রার্ড তথা মালিকানার সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি মোদি সরকারের প্রকল্পের প্রচার করে এবার একদিকে যেমন এই হিসেব উল্টে দিতে চায় বিজেপি, অন্যদিকে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হতে চান কেজরিওয়াল। সেই হিসেবে কংগ্রেসের লক্ষ্য, মুখ বাঁচানো। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস বা বিজেপির কেউই সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকাই ঘোষণা করতে পারেনি। দিল্লিতে ভোট কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি। ১১ তারিখ ফল কী হবে, তা পরের ব্যাপার। আগে কিন্তু প্রার্থী নির্বাচন।