বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, স্বরাষ্ট্র, নগরোয়ন্নন, বন, পরিবেশ, জল সরবরাহ, জল সংরক্ষণ, পর্যটন, সংসদীয় বিষয়ক এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দপ্তর বরাদ্দ করা হয়েছে শিবসেনার একনাথ সিন্ধেকে। শিবসেনার অপর মন্ত্রী সুভাষ দেশাইকে দেওয়া হয়েছে শিল্প, উচ্চ ও প্রযুক্তি শিক্ষা, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ, কৃষি, পরিবহণ, মারাঠি ভাষা ও সংস্কৃতি দপ্তরের দায়িত্ব। শারদ পাওয়ারের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির মন্ত্রী জয়ন্ত পাটিল পেয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা, হাউসিং, জনস্বাস্থ্য, সমবায়, খাদ্য, শ্রম এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তর। এনসিপির অপর মন্ত্রী ছগন ভুজবলকে দেওয়া হয়েছে সেচ, গ্রামোন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার, শুল্ক, স্কিল ডেভেলপমেন্ট দপ্তর। কংগ্রেসের হেভিওয়েট মন্ত্রী বালাসাহেব থোরাটকে দেওয়া হয়েছে রাজস্ব, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যশিক্ষা, স্কুলশিক্ষা, প্রাণিসম্পদ ও ডেয়ারি উন্নয়ন এবং মৎস্য দপ্তর। কংগ্রেসের অপর মন্ত্রী নীতীন রাউত পেয়েছেন পূর্ত, আদিবাসী উন্নয়ন, শিশু ও নারী সুরক্ষা, বস্ত্র, পুনর্বাসন দপ্তর। যে যে দপ্তর এখনও বণ্টন করা হয়নি, সেগুলি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব দেখাশোনা করবেন। ২১ ডিসেম্বর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শেষ হবে। তারপর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে জোট বেধে লড়াই করেছিল। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর সরকার গঠনে বিজেপির কাছে শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী পদের অংশীদারিত্ব নিয়ে শর্ত রাখে। আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদের সেই দাবি বিজেপি মানতে রাজি না হওয়ায় দু’দলের দীর্ঘ ২০ বছরের জোট ভেঙে যায়। পরিবর্তে শিবসেনা এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি হয় সরকার গঠনে। কিন্তু সেই পরিকল্পনাও প্রায় ভেস্তে দিয়েছিল বিজেপি। এনসিপি থেকে অজিত পাওয়ারকে ‘ভাঙিয়ে’ এনে সরকার গড়ে কাকভোরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আস্থাভোটের নির্দেশ দিতেই পদত্যাগ করেন ফড়নবিশ। এরপর শিবাজি পার্কে ২৮ নভেম্বর ধুমধাম করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন উদ্ধব। সঙ্গে আরও ৬ মন্ত্রী। কিন্তু তারপরও তাঁদের দপ্তর বণ্টন না হওয়ায় এই মিলিজুলি সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন ফড়নবিশ।