বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
পাল্টে যাওয়া বাংলার সেই কারিগরের আহ্বানের মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ছ’হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এল আনন্দঘন পরিবেশে। সিঙ্গাপুরের ইনফ্রাকো এশিয়া, নেদারল্যান্ডসের ডাচ কনসোর্টিয়াম, জার্মানির আর্থিক সংস্থা কেএফডব্লু এবং ইউনাইটেড নেশনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের ইউনিডোর মতো বিদেশি সংস্থার কর্তারা ঘোষণা করলেন, আস্থা রয়েছে বাংলায়। তাই বিনিয়োগ এখানেই। সঙ্গে যোগ্য সহচর্য দিল আইটিসি, টিটাগড় ওয়াগনস, বানতলা লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন, আমাজন ইন্টারনেট সার্ভিস এবং হর্ষ নেওটিয়া ও সঞ্জয় বুধিয়ার মতো শিল্পপতিরা।
সংযোগ, সমন্বয় এবং বিকেন্দ্রীকরণ—ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প আর পর্যটন এই চারের মিশ্রণ নিয়ে বঙ্গোপসাগরের তীরে রাজ্যের সবচেয়ে ফেভারিট ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন কোন পর্যায়ে পৌঁছয়, তা দেখতে মুখিয়ে ছিল বণিকমহল। কনক্লেভের প্রথম দিনের নির্যাস বলছে, সে কাজে সফল হয়েছেন টিম মমতার শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। যথাযথ সাহায্য দিয়েছেন নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আর পূর্ব মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। একদিকে, বাংলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা আর অন্যদিকে সৈকতনগরীর পাল্টে যাওয়া চেহারা দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরেছে এই কনক্লেভ। এর মূল লক্ষ্য অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে যখন, হর্ষ নেওটিয়া ঘোষণা করেছেন, এবার পাঁচতারা হোটেল বানাবেন দীঘায়। কাজও শুরু হয়েছে সেই হসপিটালিটি সেক্টরের। টানা করতালির মাঝেই হোটেলিয়ার নিত্যানন্দ কুণ্ডু জানালেন, হায়াত গ্রুপ অব হোটেলের সঙ্গে মিলে তিনি দীঘা রেল স্টেশনের কাছে বানাচ্ছেন চারতারা আরও একটি হোটেল।
উদ্বোধনী বার্তায় মমতা বলেছিলেন, গোটা দেশের তুলনায় বাংলার অর্থনৈতিক হার, জিডিপি, শিল্পসূচক, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস, ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প সহ নানা ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকার কাহিনী। শুনিয়েছিলেন কীভাবে বাংলায় কমেছে বেকারত্ব এবং গরিব মানুষের সংখ্যা। কিন্তু এসবের পরে কি ভারী শিল্প আসবে এ রাজ্যে? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল দীঘার কনভেনশন সেন্টার জুড়ে। উত্তর মিলল মঞ্চ থেকেই। টিটাগড় ওয়াগনসের কর্ণধার উমেশ চৌধুরী ঘোষণা করলেন, তাঁর উত্তরপাড়ার কারখানায় তৈরি হবে দেশের প্রথম অ্যালুমিনিয়াম বডির মেট্রো কোচ। যা চলবে পুনে শহরের নির্মীয়মাণ মেট্রো পথে। সঙ্গে সংযোজন শালিমারে তৈরি হচ্ছে নেভাল শিপ কারখানা। নাগাড়ে হাততালি দিচ্ছিলেন মমতা। উচ্ছ্বসিত শিল্পমন্ত্রী বলে উঠলেন—মেড ইন বেঙ্গল। এরপরই ঘোষণা হল, জার্মানির আর্থিক সংস্থা কেএফডব্লুর সাহায্যে ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়ে উঠবে সৌরবিদ্যুৎ প্ল্যান্ট। ডাচ কনসোর্টিয়াম বানতলায় বিনিয়োগ করবে লেদার কমপ্লেক্সের বর্জ্যকে পরিবেশ বান্ধব করার কাজে। অর্থমন্ত্রী জানালেন, সবমিলিয়ে ৮০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে লেদার কমপ্লেক্সে। তখন কনভেনশন সেন্টরের প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে শুধুই উচ্ছ্বাস আর করতালি।