শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
সম্প্রতি ব্রিটেনের সংস্থা কমপ্যারিটেক তাদের রিপোর্টে জানায়, দেশবাসীর উপর নজরদারি চালানোর নিরিখে রাশিয়া ও চীনের পরে স্থান ভারতের। এই খবর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। এ প্রসঙ্গে সংসদে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘কোনও সাধারণ নাগরিক যাতে হেনস্তার শিকার না হন এবং তাঁর গোপনীয়তা লঙ্ঘিত না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত রক্ষাকবচ রয়েছে। গোপনীয়তার অধিকার সহ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সরকার দায়বদ্ধ।’ একইসঙ্গে, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই দেশবাসীর উপর নজরদারির তত্ত্ব আওড়ানো হচ্ছে বলেও তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী।
আধারের তথ্য চুরির অভিযোগ নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন রবিশঙ্কর। ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০১৯’ আনতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, আধার কেন্দ্রের নিরাপত্তা অত্যন্ত সুরক্ষিত। বহুস্তরীয় নিরাপত্তাবলয় রয়েছে। সর্বোচ্চ সুরক্ষা ও অখণ্ডতার স্বার্থে তা প্রতিনিয়িত আপডেট করা হচ্ছে। রবিশঙ্করের কথায়, ‘ইউআইডিএআই অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং এনক্রিপ্টটেড (তালাবন্দি)।’ এছাড়া, আধার কেন্দ্রের বাহ্যিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অত্যন্ত শক্তিশালী বলেও জানিয়েছেন তিনি। যেখানে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত রয়েছে সিআইএসএফ। প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহেই সংসদে পেশ হতে চলেছে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০১৯।
কী রয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিলে: গুগল ও ফেসবুককে আগেই ভারতে তথ্যভাণ্ডার স্থাপনের কথা বলেছে মোদি সরকার। মনে করা হচ্ছে, এই বিলে গুরুত্ব বিচার করে ডেটা বা তথ্যের শ্রেণীবিভাগ করা হবে। সেক্ষেত্রে সংবেদনশীল তথ্যের তালিকাভুক্ত হতে পারে আর্থিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য।