কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে চিরাগের এই ফর্মুলা যে বিজেপি’র পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, তা মনে করছেন রাজনীতির বিশ্লেষকরা। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় ৫২ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বাকি পড়ে রয়েছে ২৯ টি আসন। তার সবটাই যে এলজেপি’কে বিজেপি ছেড়ে দেবে, এমনটা নয়। তা ছাড়া পাসোয়ানের দল যে এত কম সংখ্যক আসনে লড়বে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন চিরাগ। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এনডিএ’র সঙ্গে এলজেপি’র মধুচন্দ্রিমায় কী এবার ছেদ পড়তে চলেছে? এই প্রশ্নকে ঘিরে চলছে জোর চর্চা। আর যদি সত্যিই ছেদ পড়ে তা হলে, মহারাষ্ট্রের পর বিজেপির কাছে বড় বিড়ম্বনার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তার উপর আর এক জোট শরিক জনতা দল (ইউনাইটেড)ও জানিয়ে দিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের ভোটে তারা একক লড়াইয়ে নামছে।
ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোট শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ নভেম্বর। পাঁচ দফার ভোট শেষ হবে আগামী ২০ ডিসেম্বর। সেই মতো রণকৌশলের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। প্রার্থী বাছাইয়ের কাজে খানিক এগিয়ে গেরুয়া শিবির। দু’দিন আগে ৫২টি আসনে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। তাতে দেখা যায় ১০জন বিধায়কই টিকিট পাননি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কিশোরও। এদিন আচমকাই বিজেপির সঙ্গত্যাগের কথা ঘোষণা করে টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বললেন, ‘কী কারণে আমাকে টিকিট দেওয়া হল না, তা বোধগম্য হচ্ছে না। অথচ, আমি দলের চিফ হুইপ। আমাকে না জানিয়ে প্রার্থী বাছাই হয়েছে। সেই কারণেই এদিন বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।’ সেই সঙ্গে কিশোর এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’-এ যোগদান করেছেন। বৈদ্যনাথ রামও ঝাড়খণ্ডের দাপুটে বিজেপি নেতা। তাঁকে দলে পেয়ে দৃশ্যতই খুশি মোর্চা শিবির। রামকে লাতেহার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে বলেও এদিন এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।