নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
সিপিএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১২ দিন ধরে মোট ২৮৩ কিলোমিটার পথে এই লং মার্চ করা হবে। তা হবে মোট তিনটি পর্যায়ে। একটি চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতা। দ্বিতীয়টি মালদহ থেকে শিলিগুড়ি। এবং তৃতীয়টি হবে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বিক্রি করে দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। যার জেরে বেকারত্বের হার ক্রমশ বাড়ছে। এর বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারীদের এককাট্টা করে প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সংক্রান্ত ইস্যুর পাশাপাশিই কেন নির্ধারিত ওই লং মার্চে বাংলার কৃষি ব্যবস্থা নিয়েও সোচ্চার হচ্ছে না সিপিএম?
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিশেষ করে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের কৃষক জনভিত্তি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজ্যে ক্ষমতা থেকেই সরে যাওয়ার ফলে সেই জনভিত্তি আর পুনরুদ্ধার করতেই সক্ষম হননি সিপিএম নেতারা। ফলে এই পরিস্থিতিতে বাংলাতে কৃষক লং মার্চ করলে তা আদৌ কতটা সফল হবে, তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই। একইসঙ্গে মনে করা হচ্ছে, এই লং মার্চ বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডের একটি পাল্টাও। কারণ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাসহ একাধিক ইস্যুতে অক্টোবর মাসেই দিন দশেকের জন্য পশ্চিমবঙ্গে ‘গান্ধী সংকল্প যাত্রা’ পালন করেছে বিজেপি। কার্যত লং মার্চের ঢংয়েই। বিরোধী হিসেবে রাজ্যে তাদের সাংগঠনিক হালও যে তুলনায় কম শক্তিশালী নয়, বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিপক্ষদের সেটাই বোঝাতে মরিয়া হয়েছে সিপিএম। দলের অন্দরে এমনটাই খবর।