নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
সরকার নাফেডের মাধ্যমে সস্তায় পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলিকে তা গ্রাহকদের জন্য কম দামে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই পেঁয়াজের দাম উর্ধ্বমুখী হতে হতে খোলা বাজারে ১০০ টাকা কিলোতে এসেছে পৌঁছনোয় চাপে পড়ে গিয়েছে মোদি সরকার। তাই রাজ্যগুলিকে যেমন মজুতদারদের দিকে বাড়তি নজরদারি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, অন্যদিকে পেঁয়াজের রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে।
দেশীয় বাজারে জোগান বাড়াতে আফগানিস্তান, মিশর, ইরান এবং তুরষ্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের কোথায় কেউ যাতে অহেতুক পেঁয়াজ মজুত করে রাখতে না পারে, তার জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। বেঁধে দেওয়া হয়েছে পরিমাণ। খুচরোর ক্ষেত্রে কোনও ব্যবসায়ী ১০ মেট্রিক টন এবং পাইকারি বিক্রেতার ক্ষেত্রে ৫০ মেট্রিক টনের বেশি কেউ পেঁয়াজ মজুত করতে পারবে না বলেই কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান বলেন, খরিফ মরসুমে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ উৎপাদন কম হয়েছে। বৃষ্টির জন্যও নষ্ট হয়েছে। জলে ভিজলে পেঁয়াজ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। রাখার যে ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানেও নষ্ট হয়েছে। তাই বাজারে পেঁয়াজ কম। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে। নাফেডের (ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া) মাধ্যমে যে পেঁয়াজ আগেই সংগ্রহ করা হয়েছে, গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে সরকার তা দিল্লিতে সফল এবং মাদার ডেয়ারির মতো সংস্থাকে ২৪ টাকা ৯০ পয়সা কিলো দরে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গণবণ্টন সচিব অবিনাশ কে শ্রীবাস্তব।
তবে মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজের সরবরাহ কম হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন কমই দাম বৃদ্ধির কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গতবার যেখানে খরিফ মরসুমে ৩০ লক্ষ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল, এবার তা হয়েছে ২০ লক্ষ টন মতো। তাই রপ্তানি বন্ধ, আমদানির ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি মজুতদারি রুখতে রাজ্যগুলিকে বাড়তি উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।