কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
আজ সুপ্রিম কোর্টে রাম লাল, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, হিন্দু মহাসভা, নির্মোহি আখড়া, শিয়া ওয়াকফ বোর্ড ইত্যাদি প্রত্যেক আবেদনকারী লিখিত প্রস্তাব ও দাবি সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে। এই আবেদনগুলির মধ্যে অনেকের লিখিত প্রস্তাবে যেমন হুবহু রয়েছে শুনানি চলাকালীন তাদের আবেদন ও দাবিসমূহ, আবার অন্য আরও লিখিত আবেদনের মধ্যে রয়েছে বিকল্প কিছু প্রস্তাবও। আজ এই লিখিত প্রস্তাব পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায়দানের প্রস্তুতি শুরু করবে। সুপ্রিম কোর্ট যাচাই করবে ৪০ দিনের শুনানি পর্ব, মধ্যস্থতাকারী কমিটির রিপোর্ট এবং এই লিখিত প্রস্তাব ও দাবিসমূহকে। তার পর আগামী ১৭ নভেম্বরের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে রায়। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদনকারীদের বক্তব্য গ্রহণের পর্বটি সমাপ্ত হয়েছে আজ। এবার শুধুই রায়দানের অপেক্ষা।
১৭ নভেম্বরই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি. রঞ্জন গগৈ অবসর গ্রহণ করবেন। সুতারং অযোধ্যার ১৩৪ বছরের পুরনো মন্দির-মসজিদ বিবাদের জমি মামলার মীমাংসা সংক্রান্ত আইনি নির্দেশ তাঁর আইনি জীবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে। শুনানি সমাপ্তির পরই একঝাঁক জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন আবেদনকারীর অবস্থান বদল নিয়ে। কখনও শোনা গিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের দাবি ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে। আবার কখনও শোনা গিয়েছে, সেই অবস্থান নিয়ে মতান্তর আছে তাদের অন্দরে। তবে আজ লিখিতভাবে যে অবস্থান আদালতকে জানানো হয়েছে, বস্তুত সেটাই হবে চূড়ান্ত দাবি ও আবেদন। এবং তার উপরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। যে কোনও দিনই এই রায় ঘোষণা হয়ে যাবে। আর তাই, ভারত সরকার গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।