কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের। শুধু বিহারেই মারা গিয়েছেন অন্তত ৩০ জন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। বিপর্যস্ত রাজধানী পাটনাও। রাস্তায় কোমরসমান জল ঠেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ত্রাণ বিলি করছেন জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। ঘিঞ্জি শহর এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের কাছে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ছত্তিশগড়ের কোল ইন্ডিয়ার পাম্প ব্যবহার করে রাস্তা থেকে জল নামানো হচ্ছে। বুধবারের মধ্যেই অধিকাংশ রাস্তায় জল নেমে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব দীপক কুমার। অন্যদিকে, এদিন কৌশলনগরের বস্তি এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ত্রাণবিলি নিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের মন্ত্রী অশোক চৌধুরী। উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, জোটশরিক হলেও নীতীশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে বন্যাত্রাণ কেলেঙ্কারি নিয়ে এদিন তোপ দেগেছেন বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।
উত্তরপ্রদেশের অবস্থাও বেশ খারাপ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮০০-রও বেশি বাড়ি। বৃষ্টির জেরে বাড়ি ও দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। চলতি বছরে উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩৭১ জনের। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। বন্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।