কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কর্মচারী রাজ্য বিমার সদস্য সংখ্যা ১০ কোটি করার লক্ষ্যে ‘ভিশন ২০২২’ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের ১৭৩তম বৈঠকে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী তথা ইএসআইসি চেয়ারম্যান সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি স্থির হয়েছিল গোটা ব্যবস্থাটি খতিয়ে দেখার জন্য একটি সাব-কমিটিও তৈরি করা হবে। এই ভিশন ২০২২ আসলে কী? শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর প্রধান লক্ষ্য হল আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় যাতে এই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি ইএসআই কার্যকর হয়, তা নিশ্চিত করা। দেশের সর্বত্র ইএসআই চালু করে এর সদস্য সংখ্যা ১০ কোটি করার ‘টার্গেট’ও নেওয়া হয়েছে ভিশন ২০২২-এ। জানা যাচ্ছে, দেশের প্রতিটি জেলায় এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কি না, প্রধানত তার উপর নজরদারি চালানোই ছিল ওই সাব-কমিটির কাজ।
শ্রমমন্ত্রক থেকে প্রাপ্ত গত ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, উল্লিখিত ছ’টি জেলা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের ১৭টি জেলায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সারা দেশের মধ্যে ৩৮১টি জেলায় এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আংশিকভাবে নির্দেশিকা জারি হয়েছে ১৮৫টি জেলায়। কিন্তু দেশের ১৫৬টি জেলায় এটি কার্যকরই করা হয়নি। অন্যদিকে ২২টি রাজ্যে আংশিকভাবে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে সারা দেশের প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ এই সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি ইএসআইয়ের আওতায় আছেন। যার মধ্যে মহিলা উপভোক্তার সংখ্যা ৫১ লক্ষের কিছু বেশি। দেশের যেসব সংস্থা-প্রতিষ্ঠান অথবা কলকারখানায় ন্যূনতম ১০ জন কর্মচারী রয়েছেন, সেইসব সংস্থা-প্রতিষ্ঠান ইএসআইসি’র আওতায় থাকে। ওই কর্মচারীদের মধ্যে যিনি মাসিক সর্বোচ্চ ২১ হাজার টাকা বেতন পান, তিনি বাধ্যতামূলকভাবে ইএসআই পরিষেবা পান।