সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর:আগামী জনগণনা প্রক্রিয়ায় একঝাঁক নতুন তথ্য সংগ্রহ করা হবে দেশবাসীর কাছ থেকে। ২০২১ সালের জনগণনা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রকৃত জণগণনার কাজ শুরুর আগে আগস্ট থেকে চলছে প্রি টেস্ট পর্ব। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রি টেস্ট পর্ব চলবে রাজ্যে রাজ্যে। এরপর জনগণনার প্রথম পর্বের কাজ শুরু হবে আগামী এপ্রিলে। চলবে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালের জণগণনায় যেসব প্রশ্ন জানতে চাওয়া হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য। একটি পরিবারের কতজন সদস্যের কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে সেটা তালিকাভুক্ত করা হবে। পরিবারে কত মোবাইল ফোন আছে, তার মধ্যে স্মার্ট ফোন কতজনের আছে, টিভির কানেকশনে কেবল সংযোগ নাকি ডিশ টিভি, বাড়িতে বোতলবন্দী জল খাওয়ার অভ্যাস আছে কিনা ইত্যাদি একঝাঁক প্রশ্ন করা হবে। আগামী জণগণনা প্রক্রিয়ায় জাতপাতের কোনও গণনা আর হবে না। ২০১১ সালের জনগণনার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের দাবিতে ২০১৩ সালে জাতপাতের পৃথক গণনা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। কারণ তুমুল সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে জাতপাতের সংখ্যা নির্ধারণ করতে গিয়ে। দেখা গিয়েছে একই জাতের নামের একাধিক বানান, অসংখ্য মানুষ জাতের নাম বলতে গিয়ে গোত্র উল্লেখ করেন। ফলে সামগ্রিকভাবে গোটা পরিসংখ্যানই বিশ বাঁও জলে। এখনও তৈরিই হয়নি চূড়ান্ত রিপোর্ট। এই কারণেই আগামী জনগণনায় কাস্ট সেন্সাস অর্থাৎ জাতপাতের গণনা হবে না।
২০২১ সালের আদমসুমারি প্রক্রিয়ায় সব মিলিয়ে ৩৩ লক্ষ গণনাকারী কাজ করবেন। জণগণনা হবে দুটি ধাপে। প্রথম ধাপে হবে বাড়ি তালিকাভুক্ত করার কাজ। সেটি বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি করবেন কোন সময়সীমায় হবে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই প্রথম ধাপের কাজ হবে। আর দ্বিতীয় ধাপের কাজ হবে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। মার্চ মাসে হবে পরিমার্জন ও সংশোধনের প্রক্রিয়া। এ যাত্রায় পৃথকভাবে নারী পুরুষের সংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে না। কারণ জনগণনা সংক্রান্ত ফর্মেই প্রত্যেক ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ তথ্য থাকে। তাই সেখান থেকেই জানা সম্ভব মোট নারী ও পুরুষের সংখ্যা কত। এই প্রথম সম্পূর্ণ তথ্য সঙ্কলন হবে ডিজিট্যাল প্রক্রিয়ায়। গণনাকারীর কাছে থাকা স্মার্টফোনে সংগৃহীত তথ্য স্টোর করার পর সেগুলির সংশোধন ও পরিমার্জনের পর সরাসরি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে জমা করা হবে জণগণনা কর্তৃপক্ষের ডেটা সেন্টারে। তবে পৃথকভাবে গণনাকারী চাইলে কাগজেও সংগৃহীত তথ্য ও পরিসংখ্যান পাঠাতে পারেন। ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে।