কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
পাকিস্তানে নিষিদ্ধ সংগঠনের সংখ্যা ভারতের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতে নিষিদ্ধ হিজবুল মুজাহিদিন, হরকত-উল-মুজাহিদিন, আল বদরের মতো বড় জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। সেখান থেকেই বহাল তবিয়তে জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনগুলি। বরং প্রতিবেশী দেশের নিষিদ্ধ তালিকার মধ্যে রয়েছে মূলত বালুচিস্তান, গিলগিট-বাল্টিস্তান এবং আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার সংগঠনগুলি। এমনকী, এতদিন হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো কিছু ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কিছুই করেনি পাকিস্তান। ২০০৮ সাল থেকেই লস্কর প্রধানের বিরুদ্ধে একের পর এক তথ্য প্রমাণ দাখিল করেছে নয়াদিল্লি। তারপর অনেকদিন কেটে গেলেও দিব্যি ছিল হাফিজ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি শিবির পরিদর্শন থেকে শুরু করে পাকিস্তানে নির্বাচন লড়ার তোড়জোড় সবই চালিয়েছিল সে। শেষপর্যন্ত গত বছর তাকে বেশ কিছুদিন গৃহবন্দি করে রাখে পাকিস্তান। হাফিজের জামাত-উদ-দাওয়া নেটওয়ার্কের অধীনে রয়েছে ৩০০টি বিদ্যালয়, হাসপাতাল, একটি প্রকাশনা সংস্থা এবং অ্যাম্বুল্যান্স পরিষবো। সরকারি মতে, তাদের দু’টি শাখা মিলিয়ে এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এবং কয়েকশো বেতনভুক কর্মী। বলাই বাহুল্য, এদের মধ্যে জঙ্গিরাও লুকিয়ে থাকে। কিন্তু তারপরেও এতদিন এই সংগঠনের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান। জয়েশ প্রধান মাসুদ আজহারও প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে সেখানেই একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন সে।
২০০১ সালে প্রথম লস্কর-ই-জাংভিকে নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তানের এনসিটিএ। যারা মূলত পাকিস্তানের পাশাপাশি আফগানিস্তানে নাশকতা চালাত বলে অভিযোগ। এরপর একে একে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান, বালুচিস্তান রিপাবলিকান আর্মি, বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট, লস্কর-ই-বালুচিস্তান, বালুচিস্তান লিবারেশন ইউনাইটেড ফ্রন্ট প্রভৃতি। এছাড়া লেবানন-সিরিয়ায় নাশকতা চালানো আবদুল্লা আজম ব্রিগেড, তুরস্ক ও আফগানিস্তানের ইস্ট তুর্কমেনিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট ইত্যাদিকেও নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে আল-আখতার ট্রাস্টকেও নিষিদ্ধ করেছে তারা। উল্লেখ্য, লস্করকে ২০১৪ সালেই বিদেশি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারপরেও পাকিস্তান তাদের নিষিদ্ধ করেনি।